AdGuru

This is default featured slide 1 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 2 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 3 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 4 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 5 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

Monday, February 3, 2014

Configuration & price of Nokia Lumia 525



Configuration details with price of  Nokia Lumia 525 



Technology
  • 2G Network
  •  GSM 850 / 900 / 1800 / 1900 - RM-998
  • 3G Network
  •  HSDPA 900 / 2100 - RM-998
  • GPS
  •  Yes, with A-GPS support and GLONASS
  • SIM
  •  Micro-SIM
Display
  • Type
  •  IPS LCD capacitive touchscreen, 16M colors
  • Size
  •   4.0 inches, 480 x 800 pixels
  • Pixel density
  •  ~233 ppi
  • Protection
  •  Scratch-resistant glass
Built
  • Dimensions
  •  119.9 x 64 x 9.9 mm
  • Weight
  •  124 g
Camera
  • Primary
  •  
    5 MP, 2592?1936 pixels
  • Features
  •  Autofocus, 1/4'' sensor size, geo-tagging
  • Video
  •  Yes, 720p@30fps
  • Secondary
  •  No
Hardware
  • OS
  •  Microsoft Windows Phone 8 Black
  • Chipset
  •  Qualcomm MSM8227
  • CPU
  •  Dual-core 1 GHz
  • GPU
  •  Adreno 305
  • Sensors
  •  Accelerometer, proximity
  • Internal Memory
  •  8 GB, 1 GB RAM
  • Extra Storage
  •  microSD, up to 64 GB
Multimedia
  • Alert types
  •  Vibration; MP3, WAV ringtones
  • Speakerphone
  •  
Yes
  • 3.5 mm Jack
  •  Yes
  • Radio
  •  FM Radio
Connectivity
  • GPRS
  •  Class B
  • EDGE
  •  Up to 236.8 kbps
  • Speed
  •  HSDPA, 21.1 Mbps; HSUPA, 5.76 Mbps
  • WLAN
  •  Wi-Fi 802.11 b/g/n, Wi-Fi hotspot
  • Bluetooth
  •  Yes, v4.0 with A2DP, LE
  • USB
  •  Yes, microUSB v2.0
Other features
  • Messaging
  •  SMS (threaded view), MMS, Email, Push Email, IM
  • Browser
  •  HTML5
  • Colors
  •  Black, White, Yellow, Red
  • Java
  •  No
  • Miscellaneous
  •  SNS integration
    - Active noise cancellation with dedicated mic
    - MP3/WAV/eAAC+/WMA player
    - MP4/H.264/H.263/WMV player
    - 7GB free SkyDrive storage
    - Document viewer
    - Video/photo editor
    - Voice memo/dial/commands
    - Predictive text input
Power management
  • Battery
  •  Li-Ion 1430 mAh battery (BL-5J)
  • Stand-by
  •  Up to 336 hrs (2G) / Up to 336 h (3G)
  • Talk time
  •  Up to 17 hrs (2G) / Up to 10 h 40 min (3G)
  • Music play
  •  Up to 48 hrs
Availability

  • Announced
  •  2013, November
  • Status
  •  Available. Released 2014, January
Price Range
  • Pirce group
  • Average Price
  •   About BDTk. 12,500.00

Configuration & Price of Samsung Galaxy Trend II Duos S7572

 

Samsung Galaxy Trend

 


Samsung Galaxy Trend II Duos S7572
MORE PICTURES



Also known as Samsung Galaxy Trend II S7570, Samsung GT-S7572, GT-S7570.

General        2G Network  GSM 850 / 900 / 1800 / 1900 - GT-S7570
  GSM 850 / 900 / 1800 / 1900 - GT-S7572 (SIM 1 & SIM 2)
     3G Network HSDPA 900 / 2100 - GT-S7570, GT-S7572
     SIM Optional Dual SIM (Mini-SIM, dual stand-by)
     Announced 2013, April
    Status Available. Released 2013, May
Body          Dimensions 121.5 x 63.1 x 11.1 mm (4.78 x 2.48 x 0.44 in)
         Weight 128.5 g (4.52 oz)
Display      Type TFT capacitive touchscreen
    Size 480 x 800 pixels, 4.0 inches (~233 ppi pixel density)
    Multitudinous Yes
Sound       Alert types Vibration; MP3, WAV ringtones
    Loudspeaker Yes
    3.5mm jack Yes
Memory    Card slot microSD, up to 32 GB
Data          GPRS    Yes
         EDGE Yes
         Speed HSDPA, 7.2 Mbps; HSUPA, 5.76 Mbps
        WLAN Wi-Fi 802.11 b/g/n, Wi-Fi hotspot
       Bluetooth   Yes, v3.0
       USB   Yes, microUSB v2.0
Camera   Primary 3.15 MP, 2048x1536 pixels
  Video Yes
  Secondary No
Features OS Android OS, v4.1 (Jelly Bean)
CPU Dual-core 1.2 GHz
Sensors Accelerometer, proximity
Messaging SMS(threaded view), MMS, Email, Push Mail, IM, RSS
Browser HTML
Radio No
GPS Yes
Java Yes, via Java MIDP emulator
Colors White, Gray
 - SNS integration
- MP4/WMV/H.264/H.263 player
- MP3/WAV/eAAC+/AC3/FLAC player
- Organizer
- Image/video editor
- Document viewer
- Google Search, Maps, Gmail,
YouTube, Calendar, Google Talk, Picasa
- Voice memo/dial
- Predictive text input
Battery   Li-Ion 1500 mAh battery
   Stand-by
   Talk time
Misc        SAR US0.51 W/kg (head)     1.08 W/kg (body)    
       SAR EU 0.29 W/kg (head)    
      Price group   BTk.10.900.00

Toshiba different new model Laptop now at Bangladesh

২২ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো তোশিবার নতুন স্যাটেলাইট সি৪০-থার্ড জেনারেশন কোর আই থ্রি, স্যাটেলাইট ইউ৯২০টি কোর আই ফাইভ আল্ট্রাবুক, স্যাটেলাইট ইউ৮৪০ডব্লিউ কোর আই ফাইভ সিনেমাটিক আল্ট্রাবুক এবং বিশ্বের সবচেয়ে হালকা আল্ট্রাবুক পোর্টিজি জেড৯৩০ ল্যাপটপগুলো। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম বলেন, তোশিবা একটি জাপানি ব্র্যান্ড। গুণগত সেবার মাধ্যমে তোশিবা বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তিপ্রেমীদের কাছে একটি আস্থার নাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে। তোশিবা ব্র্যান্ডের অন্যতম প্রধান মূলনীতি হচ্ছে, যে কোনো মূল্যে পণ্যের গুণগত মান ঠিক রাখা। বিশেষ করে তোশিবা ব্র্যান্ডের ল্যাপটপের বিক্রয়োত্তর সেবার যে পলিসি, তা অন্য যে কোনো ব্র্যান্ডের তুলনায় শ্রেয়তর। তাই তোশিবা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরা যে কোনো ধরনের ভোগান্তি থেকে সব সময়ই নিরাপদ থাকেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্মার্ট টেকনোলজিসের বিক্রয় মহাব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ এবং ল্যাপটপ মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মুজাহিদ আলবেরুনী সুজন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তোশিবা পণ্য ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম তুহিন। অনুষ্ঠানে তোশিবা ল্যাপটপের নতুন অফার ঘোষণা করেন স্মার্ট মহাব্যবস্থাপক জাফর আহমেদ। তিনি বলেন, স্থবির আইটি বাজারকে সচল করার উদ্দেশ্যে আমরা প্রতিটি মডেলের তোশিবা ল্যাপটপের সঙ্গে একটি করে মোবাইল হ্যান্ডসেট উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনুষ্ঠানে বিশেষ র্যাফল ড্র এবং কুইজের ব্যবস্থা করা হয়। অবমুক্ত করা নতুন মডেলের ল্যাপটপগুলোর বিবরণ হলো—
স্যাটেলাইট সি৪০-থার্ড জেনারেশন কোর আই থ্রি : এই ল্যাপটপটিতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই থ্রি ৩১২০এম প্রসেসর, ইন্টেল সেভেন সিরিজ এক্সপ্রেস চিপসেট, ১৪ ইঞ্চি এলইডি ডিসপ্লে, ৫০০ গিগাবাইট হার্ডড্রাইভ এবং ডিভিডি রাইটার। মূল্য : ৩৮,৯০০ টাকা।
স্যাটেলাইট ইউ৯২০টি কোর আই ফাইভ আল্ট্রাবুক : এই আল্ট্রাবুকটিতে রয়েছে ইন্টেল ইউএলভি কোর আই ফাইভ ৩৩৩৭ইউ প্রসেসর, উইন্ডোজ এইট ৬৪ বিট জেনুইন অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টেল এইচএম৭৭ চিপসেট, ২ জিবি এনভিদিয়া গ্রাফিক্স কার্ড, মাল্টি জেসচার টাচপ্যাড, ৩২ জিবি এসএসডি, ৬৪০ জিবি হার্ডড্রাইভ, থ্রিডি শক সেন্সর, ৫ ঘণ্টা পাওয়ার ব্যাকআপ। মূল্য : ৮৪,০০০ টাকা।
স্যাটেলাইট ইউ৯২০টি কোর আই ফাইভ আল্ট্রাবুক : এই আল্ট্রাবুকটিতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই ফাইভ ৩৩৩৭ মডেলের প্রসেসর, অরিজিনাল উইন্ডোজ এইট অপারেটিং সিস্টেম, ৪ গিগাবাইট ডিডিআরথ্রি র্যাম, ইন্টেল এইচএম৭৭ এক্সপ্রেস চিপসেট, ১২.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড, ১২৮ জিবি এসএসডি, ব্লুটুথ ৪.০ সহ আরও বেশকিছু আকর্ষণীয় ফিচার। মূল্য : ১,২৫,০০০ টাকা।
স্যাটেলাইট ইউ৮৪০ডব্লিউ কোর আই ফাইভ সিনেমাটিক আল্ট্রাবুক : সিনেমা দেখার জন্য বিশেষায়িত এই আল্ট্রাবুকটিতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই ফাইভ ৩৩৩৭ইউ প্রসেসর, উইন্ডোজ এইট, ৬ জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম, ১৪.৪ ইঞ্চি এলইডি ডিসপ্লে, ইন্টেল এইচডি গ্রাফিক্স কার্ড, ৫০০ জিবি হার্ডডিস্ক, ৩২ জিবি এসএসডি, হার্মান কার্ডন স্পিকার, ব্লুটুথ ৪.০ ও বিল্ট ইন এইচডি ওয়েবক্যাম। মূল্য : ৮৫,০০০ টাকা।
পোর্টিজি জেড৯৩০ আল্ট্রাবুক : বিশ্বের সবচেয়ে হালকা ওজনের এই আল্ট্রাবুকটিতে রয়েছে ইন্টেল কোর আই সেভেন-৩৬৮৭ইউ মডেলের প্রসেসর, উইন্ডোজ এইট প্রো ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম, ইন্টেল সেভেন সিরিজ এক্সপ্রেস চিপসেট, ৬ জিবি ডিডিআরথ্রি র্যাম (১৬ জিবি পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য), ২৫৬ জিবি এসএসডি, ব্লুটুথ ৪.০, বিল্ট ইন ওয়েবক্যাম স্টেরিও স্পিকার, ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং তিন বছরের আন্তর্জাতিক বিক্রয়োত্তর সেবা। মূল্য : ১,৭১,০০০ টাকা।

ফেসবুকের ৫ ‘হট’ অ্যাপ্লিকেশন

ফেসবুকে জীবনের একটি ডিজিটাল প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার জন্য টাইমলাইন ফিচারটি চালু করা হয়েছিল। একজন ব্যবহারকারীর কি শখ, সে কি খেতে ভালোবাসে, কোনটি তার ভালোবাসার জিনিস বা সে কি করতে চায়— এসব তথ্য ছাড়া একজনের জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠতে পারে না। দুঃখজনক হলেও সত্য, ফেসবুক টাইমলাইনে ডিফল্টভাবে এগুলো প্রদর্শনের কোনো সুযোগ নেই। ব্যবহারকারীর জীবনের এ অংশগুলোকে তুলে ধরার জন্য তাই ৬০টি লাইফস্টাইল ওয়েবসাইটের সঙ্গে চুক্তি করেছিল ফেসবুক। মাস কয়েক আগে তাদের সঙ্গে যৌথভাবে চালু করেছিল বিশেষ সব অ্যাপ্লিকেশন। ব্যবহারকারী কখন কি করছে তার রিয়েলটাইম আপডেট প্রকাশই এ অ্যাপ্লিকেশনগুলোর কাজ। ধরুন, আপনি একটি গান শুনছেন, অমনি সেটি বন্ধুরা জেনে যাবে। এ অ্যাপ্লিকেশনগুলো পাওয়া যাবে ফেসবুক.কম/অ্যাবাউট/টাইমলাইন/অ্যাপস ঠিকানা থেকে। তবে এগুলো থেকে শীর্ষ পাঁচটির বিবরণ দেয়া হলো।

১. গুডরিড
বই পড়তে এবং শেয়ার করতে যারা ভালোবাসেন অ্যাপ্লিকেশনটি মূলত তাদের জন্যই। একবার সাইন আপ করার জন্য অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে আপনি কী বই পড়ছেন তা পোস্ট করতে পারবেন। যখন আপনি এবং আপনার বন্ধু একই বই পড়বেন তখন এটি নিউজফিডে বিশেষ গ্রুপ আকারে দেখাবে।

২. সাউন্ডক্লাউড অ্যান্ড স্যাভন
গানের লিরিক এবং ইউটিউব ভিডিও যদি ফেসবুকে সহজে পোস্ট করতে চান তাহলে উপযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেশন হতে পারে সাউন্ডক্লাউড এবং স্যাভন। ‘লিসেন টু’ এবং ‘প্লেড’ ট্যাগে ফেসবুকে আপনি যেসব গান শুনছেন সেগুলো শোনা যাবে। এর মাধ্যমে নতুন গানের প্লে লিস্ট আইডিয়াও পাওয়া যাবে।

৩. হোয়্যার আই হ্যাভ বিন
ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য এ অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক উপযুক্ত। বিশ্বের কোথায় কোথায় আপনি ভিজিট করেছেন এ অ্যাপ্লিকেশন সেটি দেখাবে। ম্যাপের মাধ্যমে আপনি কোথায় ছিলেন, কোথায় বাস করেন, থাকতে চান ইত্যাদি তথ্য প্রদর্শন করে।

৪. রটেন টমেটো
মুভি ভক্তদের রটেন টমেটো সম্পর্কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার দরকার নেই। তবে নতুনদের জন্য সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায়, দুনিয়ার তাবত্ মুভির রিভিউ পাবেন এখানে। আপনি কি কি মুভি দেখেছেন তা যদি টাইমলাইনে শো করতে চান তাহলে এটি একটি আদর্শ অ্যাপ্লিকেশন। কী কী দেখতে চান বা কোনগুলো অ্যাভয়েড করতে চান তাও টাইমলাইনে শো করতে পারেন অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে।

৫. ফ্রেন্ডস
বন্ধুদের সঙ্গে ওয়ার্ডগেম খেলা এবং শব্দভাণ্ডার বাড়ানোর জন্য আদর্শ একটি অ্যাপ্লিকেশন। আপনি কী কী গেম খেলেছেন তা বন্ধুরা আপনার টাইম লাইনের মাধ্যমে দেখতে পারবে। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে এ অ্যাপ্লিকেশনটি এরই মধ্যে প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Thursday, January 30, 2014

Some tips for easy working in Outsourcing

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ের কাজ অনেকেই করছেন, আবার অনেকে নতুন করে শুরু করতে যাচ্ছেন। অনলাইনে সহজে আউটসোর্সিংয়ের কাজ পেতে কিছু কৌশল অবলম্বন করলেই চলে। নিচে সে রকম কিছু কৌশল দেওয়া হলো।

 অনেকেই যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই জব (কাজ) পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ ১০০টা আবেদন করেও জব পান না। এটা নির্ভর করে আপনি কত কম মূল্যে (রেটে) আবেদন করেছেন তার ওপর।

 যেসব বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড না সেসব বায়ারের জবে আবেদন করবেন না। কারণ, কোনো কনট্রাক্টরকে (ফ্রিল্যান্সার) ভাড়া বা হায়ার করতে হলে তার পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড থাকতে হয়।

 কোনো একটা জব পোস্ট করার পর যত তাড়াতাড়ি সেটিতে আবেদন করবেন ততই ভালো।

 আপনি যত বেশি সময় অনলাইনে (ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে) থাকবেন ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো পোস্ট করার এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই সম্পন্ন করে জমা দিতে হয়। যেমন ফেসবুকে বা অন্য কোনো সাইটে ভোট দেওয়া এবং কিছু ভোট সংগ্রহ করে দেওয়া; আবার হঠাৎ করে কোনো ওয়েবসাইটে সমস্যা হয়েছে তা ঠিক করে দেওয়া ইত্যাদি। কাজেই শুরুতে বেশি সময় অনলাইনে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে বায়ার আপনাকে কোনো বার্তা পাঠালে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রত্যুত্তর দিতে পারেন।

 মার্কেটপ্লেসগুলোতে দেখবেন প্রতি মিনিটে নতুন নতুন জব পোস্ট করা হচ্ছে, সেগুলোতে আবেদন করুন। যেসব জবে কোনো কনট্রাক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। কারণ বায়ার যদি এদের মধ্য পছন্দের কনট্রাক্টর পেয়ে যায় তাহলে আর অন্য কনট্রাক্টরের প্রোফাইল চেক করে দেখবে না।

 যেসব জবে শর্ত দেওয়া আছে এবং সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন তাহলে আবেদন না করাই ভালো।

 যাঁরা ওডেস্কে দুই-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি মূল্য হারে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে জবটিতে আবেদন করবেন সে জবের নিচে দেখুন বায়ারের আগের জবগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন বায়ার তাঁর আগের জবগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ করিয়েছেন, তাহলে আবেদন করতে পারেন। আর যেসব বায়ার আগের জবগুলোতে বেশি ডলারে কাজ করায়নি, তাদের জবে বেশি রেটে আবেদন না করাই ভালো।

Some Way to solve your Daily Computer or Laptop Problems

Some Way to solve your Daily Computer or Laptop Problems


কম্পিউটার 

 শুরুতেই যা করণীয়
কোনো সমস্যা হলে অন্য কিছু করার আগে প্রথম কাজটিই হবে কম্পিউটার পুনরায় চালু বা রিস্টার্ট করা। এই কাজটি অনেক সমস্যার সমাধান করে দেয়। কম্পিউটারে সংযুক্ত কোনো যন্ত্রপাতি সমস্যা করলে সেটি বন্ধ করে আবার চালু করুন। তাতে কাজ না হলে যন্ত্রটি প্রথমে কম্পিউটার থেকে খুলে আবার লাগিয়ে নিন, তারপর সেটির সর্বশেষ সংস্করণের চালক সফটওয়্যার বা ড্রাইভার ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে আবার ইনস্টল করুন।
১. ধীরগতির কম্পিউটার
কম্পিউটার খুব ধীরগতির হলে প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে এটি আসলে কম্পিউটারের নিজের সমস্যা কি না। ওয়েবসাইট দেখতে সময় বেশি লাগা বা অনলাইনে ভিডিও দেখার সময় বাফারিং অবিরাম চলতে থাকাটা কম্পিউটারের সমস্যা না-ও হতে পারে। যদি মনে হয় কম্পিউটারেই সমস্যা, তাহলে দেখে নিন হার্ডডিস্কের যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা আছে (সাধারণত C:), তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা আছে কি না। অপারেটিং সিস্টেম চলার সময় উইন্ডোজের ফাইল তৈরিতে খালি জায়গার প্রয়োজন হয়। অপর্যাপ্ত থাকলে ড্রাইভের কিছু জায়গা খালি করে ফেলুন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো সমাধান হলো ডিস্কম্যাক্স নামের একটি প্রোগ্রাম। নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/rgcY4Q। রিসাইকল বিন, ইনস্টলেশন রেমন্যান্ট, ইউজার হিস্ট্রি, টেম্পরারি ফাইল, কুকিজ, উইন্ডোজ ক্যাশ ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় সবকিছু মুছে সিস্টেম ড্রাইভসহ পুরো হার্ডডিস্ক পরিষ্কার করে ফেলবে।
ধীরগতির আরেকটি সমাধান হলো মাইক্রোসফট সিস্টেম কনফিগারেশন টুল। অনেক অ্যাপলিকেশন আছে যেগুলো কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে কম্পিউটার পুরোপুরি প্রস্তুত হতে বাড়তি সময় লাগায়। এ জন্য Windows Key + R কি চেপে তাতে msconfig লিখে এন্টার চাপুন। এখান থেকে যেসব স্টার্টআপ আইটেম অপ্রয়োজনীয় মনে হয়, সেগুলো থেকে টিক উঠিয়ে দিন। তবে ম্যানুফ্যাকচারার ট্যাবে মাইক্রোসফট করপোরেশন লেখা আইটেমগুলো থেকে টিক ওঠাবেন না। এবার ওকে চেপে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।

ইন্টারনেট সংযোগ 

২. ইন্টারনেট সংযোগে সমস্যা
ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হলে ভালো সমাধান হলো www.speedtest.net ওয়েব ঠিকানা। এখানে স্পিড টেস্ট চালিয়ে দেখুন ইন্টারনেটের গতি কেমন। ইন্টারনেট সেবাদাতার দেওয়া সংযোগের গতির অন্তত অর্ধেক পাচ্ছেন কি না, পিং করলে ১০০ মিলিসেকেন্ডের কম থাকে কি না। আশানুরূপ না হলে পরীক্ষা করে দেখুন, কোনো কিছু ডাউনলোড বা আপলোড হচ্ছে কি না। অনেক টরেন্ট ডাউনলোডিং প্রোগ্রাম টাস্কবারের বদলে সিস্টেম ট্রেতে থেকে নেপথ্যে ডেটা ডাউনলোড বা আপলোড করতে থাকে। উইন্ডোজের অটোমেটিক আপডেট নির্বাচন করা থাকলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে ডাউনলোড চলতে থাকে। এটি বন্ধ করতে চাইলে স্টার্ট বাটন চেপে সার্চ বক্সে লিখুন windows update এবং এন্টার চাপুন। ‘চেঞ্জ সেটিংস’ ক্লিক করে ‘নেভার চেক ফর আপডেটস’ অপশনটি নির্বাচন করে ওকে করুন। নেটওয়ার্কে ব্যবহূত হার্ডওয়্যারও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। রাউটার বা সুইচের রিসেট বাটন চেপে সংযোগ সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। অথবা দু-এক সেকেন্ডের জন্য পাওয়ার কেবল বিচ্ছিন্ন করেও এটা করা যায়।

৩. কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট
হার্ডওয়্যার সমস্যা করলে সেটা শনাক্ত করে সমাধান করা একটু কঠিনই। প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে, উইন্ডোজ হালনাগাদ হচ্ছে কি না। এসব আপডেট ইনস্টল হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে কম্পিউটার রিস্টার্ট হয়। অনেক সময় ভাইরাস বা অ্যাডওয়্যারের কারণে এমনটা হতে পারে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার অথবা বিনা মূল্যের মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস সর্বশেষ হালনাগাদসহ ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে ইনস্টল করে স্ক্যান করে নিতে পারেন। নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/EW85AC আর এর সর্বশেষ ডেফিনিশন আপডেট ফাইল নামানোর ঠিকানা http://goo.gl/8TnmU5। কম্পিউটারের ধরন অনুযায়ী (৩২ বা ৬৪ বিট) ‘ম্যানুয়ালি ডাউনলোড দ্য লেটেস্ট আপডেটস’ সেকশন থেকে এই সফটওয়্যারটির হালনাগাদ ফাইল নামাতে হবে অথবা ইন্টারনেটে সরাসরি হালনাগা করে নিতে পারেন।
কম্পিউটারের কোনো যন্ত্রাংশ মাত্রাতিরিক্ত গরম হলেও কম্পিউটার বারবার রিস্টার্ট নিতে পারে। আধুনিক অনেক কম্পিউটারে সেফগার্ড থাকে, যা যন্ত্রপাতি গরম হলে নিজে নিজেই কম্পিউটার বন্ধ করে দেয়। সিপিইউ খোলার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং তাতে কোনো ওয়ারেন্টি সিল না থাকলে সেটি খুলে অনেক দিনের জমা ধুলোবালি ব্রাশ দিয়ে সাবধানে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তারপর র‌্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগিয়ে নিন এবং হার্ডডিস্ক, ডিভিডি-রম ড্রাইভে সংযুক্ত তারগুলো ভালোভাবে লাগিয়ে রিস্টার্ট হওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

৪. ডেস্কটপে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন
ওয়েব সাইট দেখার সফটওয়্যার (ব্রাউজার) খোলা না রাখলেও যদি ডেস্কটপে পপ-আপ উইন্ডো এসে অবাঞ্ছিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে, তবে বুঝতে হবে আপনার কম্পিউটারে কোনো অ্যাডওয়্যার ইনস্টল হয়ে আছে। এ থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ কাজ নয়। ইন্টারনেটে পিসি স্পিড-আপ, পিসি অপটিমাইজার ইত্যাদি নামে প্রচুর সিস্টেম ইউটিলিট টুলস আছে কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ করে খুব কমই। এ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত এবং বিনা মূল্যে কাজের অ্যাডওয়্যার স্ক্যানার হচ্ছে ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি ম্যালওয়্যার টুল। প্রথম কাজ হবে আগে থেকে ইনস্টল করা অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার দিয়ে পুরো সিস্টেম স্ক্যান করা।
এতে কাজ না হলে সব ধরনের ম্যালওয়্যার মোছার জন্য কার্যকর ম্যালওয়্যারবাইটস অ্যান্টি ম্যালওয়ার প্রোগ্রামটি ইন্টারনেটের www.malwarebytes.org এই ওয়েব ঠিকানা থেকে বিনা মূল্যের সংস্করণটি নামিয়ে ইনস্টল করুন। স্ক্যান করার আগে বর্তমানে কোনো অ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলে প্রথমে নিষ্ক্রিয় করে নিন। এর পরও কাজ না হলে সিস্টেম ড্রাইভে (সাধারণত সি ড্রাইভ) রাখা আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো অন্যত্র সরিয়ে অপারেটিং সিস্টেম পুরোপুরি নতুন করে ইনস্টল করতে হবে।

৫. গুগল ঠিকমতো কাজ না করা
ব্রাউজার হাইজ্যাক হওয়া ম্যালওয়্যারেরই আরেকটি ধরন। কিছু প্রোগ্রাম আছে, যা ওয়েব ব্রাউজারটি দখলে নিয়ে আপনার করা গুগল সার্চ গোপনে অন্য কোনো ভুয়া ওয়েবসাইটের পেজে নিয়ে যায়। তারপর কোনো কিছু জানতে চেয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়াসহ আপনার সিস্টেমকে আক্রান্ত করতে পারে। হালের সব ইন্টারনেট সিকিউরিটি অথবা অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারে রিয়েল-টাইম স্ক্যানার সংযুক্ত থাকে। প্রোগ্রামটির সেটিংস ঘেঁটে সেটি কার্যকর আছে কি না দেখে নিন। কাজ না হলে কন্ট্রোল প্যানেলের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ফিচারস অপশন থেকে ব্রাউজারটি বেছে নিয়ে আনইনস্টল করে ফেলুন। পছন্দসই ব্রাউজারের সর্বশেষ সংস্করণ ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে ইনস্টল করুন।
অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় বাড়তি অপশন হিসেবে তাদের নির্ধারিত টুলবার ইনস্টল করতে বলে। টুলবার ইনস্টল হয়ে গেলে ব্রাউজারে ব্যবহূত ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিনের বদলে তাদের কাস্টম সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহূত হয়ে আপনার তথ্য অনুসন্ধানে সঠিক ফল নাও দিতে পারে। সে জন্য অপরিচিত সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় কাস্টম অপশন নির্বাচন করে ধৈর্যসহকারে নির্দেশনা দেখে দেখে সফটওয়্যারটি ইনস্টল করুন। বিনা মূল্যে কোনো সেবা নেওয়ার অফার থাকলে সেগুলো পরিহার করুন। তার পরও যদি দেখেন, আপনার ব্রাউজারে অযাচিত অনেক অপশনে ভরপুর হয়ে আছে, তাহলে কন্ট্রোল প্যানেলের প্রোগ্রামস অ্যান্ড ফিচারস অপশন থেকে টুলবার প্রোগ্রামটি চিহ্নিত করে মুছে ফেলুন।

৬. ওয়াই-ফাই সংযোগ বারবার বিচ্ছিন্ন
ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগ নিয়ে সমস্যায় পড়লে একটু ধাঁধায়ই পড়তে হয়। এটা কি নিজের কম্পিউটারে সমস্যা?
রাউটারে সমস্যা?
নাকি আইএসপির সমস্যা? এ ক্ষেত্রে ইন্টারনেট সেবাদাতা বা আইএসপিকে ফোন করার আগে নিজে নিজে কিছুটা চেষ্টা করা যেতে পারে। নিশ্চিত করুন, আপনার কম্পিউটারটি ওয়াই-ফাই রাউটারের আওতার ভেতরেই আছে কি না। তারপর দেখুন কম্পিউটারের তারহীন কার্ডটির সর্বশেষ ড্রাইভার ইনস্টল করা আছে কি না। এবার উইন্ডোজ ট্রাবলশুট ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
টাস্কবারের সিস্টেম ট্রেতে থাকা ওয়াই-ফাই আইকনে ডান ক্লিক করে ‘ট্রাবলশুট প্রবলেমস’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
উইন্ডোজের নিজস্ব প্রোগ্রাম উইন্ডোজ নেটওয়ার্ক ডায়াগনস্টিক নামের টুলসটি সমস্যার সমাধান যদি না-ও করে, কিছু নির্দেশনা তো অন্তত পাওয়া যাবে।



. 


৭. ওয়েবসাইট সিকিউরিটি সার্টিফিকেট সমস্যা
অনেক বড় সমস্যার সমাধান অনেক সময়ই সহজ হয়ে থাকে৷ ওয়েবসাইট দেখতে গিয়ে যদি দেখেন, ‘দেয়ার ইজ আ প্রবলেম উইথ দিস ওয়েবসাইটস সিকিউরিটি সার্টিফিকেট’, তাহলে প্রাথমিকভাবে বুঝতে হবে, এটা আপনার কম্পিউটারের সমস্যা৷ ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত নিরাপত্তা সার্টিফিকেট কম্পিউটারে থাকা ঘড়ির সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করে (সিনক্রোনাইজড) থাকে৷ কম্পিউটার পুরোনো হলে মাদারবোর্ডের সিএমওএস ব্যাটারি বসে গিয়ে থাকতে পারে৷ যার ফলে কম্পিউটার চালু করলে সঠিক সময় ও তারিখ পাওয়া যায় না৷ নষ্ট ব্যাটারিটি পাল্টে ফেলুন অথবা সিস্টেম ট্রেতে থাকা ক্লকে ডান ক্লিক করে ‘চেঞ্জ ডেট অ্যান্ড টাইম সেটিংস’ নির্বাচন করে সঠিক সময় ও তারিখ দিয়ে সমস্যার সমাধান পেতে পারেন৷
এর পরও এ সমস্যা দেখা দিলে বুঝতে হবে, ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত নিরাপত্তা সার্টিফিকেটটি আপনার ব্রাউজারে থাকা বিশ্বস্ত পাবলিক সার্টিফিকেট অথরিটির (সিএ) তালিকায় নেই৷ এ ক্ষেত্রে ব্রাউজ করা ওয়েবসাইটটি যদি পরিচিত ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়, তাহলে ‘কন্টিনিউ টু দিস ওয়েবসাইট’ লিংকে ক্লিক করে সাইটটি দেখার কাজ চালিতে নিতে পারেন৷ সন্দেহজনক মনে হলে ‘ক্লিক হিয়ার টু ক্লোজ দিস ওয়েবসাইট’ লিংকে ক্লিক করে বের হয়ে যেতে পারেন৷

৮. প্রিন্টারে প্রিন্ট হচ্ছে না
এ রকম অবস্থা হলে দেখতে হবে প্রিন্টারের চালক সফটওয়্যার (ড্রাইভার) ইনস্টল বা আপডেট করা আছে কি না, প্রিন্টারে পর্যাপ্ত পরিমাণ কাগজ অথবা টোনারে কালি রয়েছে কি না৷ ইনস্টল করা প্রিন্টারটি ডিফল্ট প্রিন্টার হিসেবে নির্বাচন করা আছে কি না, সেটাও দেখতে হবে৷ প্রিন্টারটি একবার বন্ধ করে আবার চালু করুন৷ প্রিন্টারটি বৈদ্যুতিক সকেট থেকে খুলে অাবার লাগান৷ কম্পিউটারের সিস্টেম ট্রেতে থাকা প্রিন্টার আইকনে দুই ক্লিক করে প্রিন্ট কিউ দেখে নিন৷ এভাবে প্রিন্টারের বর্তমান অবস্থা এবং চলমান প্রিন্টার জব দেখা যাবে৷ এই উইন্ডোর প্রিন্টার ট্যাবে ক্লিক করে দেখে নিন ‘ইউজ প্রিন্টার অফলাইন’ অপশনটি থেকে টিক তুলে দেওয়া হয়েছে কি না৷ যদি এই অপশনটি টিক দেওয়া থাকে, তাহলে প্রিন্টার বন্ধ থাকলেও উইন্ডোজ কোনো প্রিন্টের নির্দেশ বা কমান্ড পেলে সেটি পরবর্তীকালে প্রিন্ট করার জন্য প্রিন্টারে পাঠিয়ে দেয়৷ এভাবে প্রিন্টারের কাজ জমতে জমতে আটকে যায়৷ এ রকম হলে প্রিন্টার জবগুলো নির্বাচন করে বাতিল করে দিন৷

৯. ই-মেইলে সংযুক্ত ফাইল না খোলাই
মেইলে আসা কোনো সংযুক্ত ফাইল যদি খুলতে সমস্যা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, আপনার কম্পিউটারে সম্ভবত ফাইলটি খুলে দেখার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা নেই৷ অ্যাডবি রিডার বা পিডিএফ সমর্থন করে, এ রকম সফটওয়্যার যদি ইনস্টল করা না থাকে, তাহলে ফাইলের নামের শেষে একটি ডট দিয়ে তিন অক্ষরের শব্দ (ফাইল এক্সটেনশন) .পিডিএফ নামের ফাইল আপনি দেখতে পারবেন না৷ http://get.adobe.com/reader ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে বিনা মূল্যে অ্যাডবি রিডার নামিয়ে নিতে পারেন৷ এভাবে ই-মেইলে সংযুক্ত ফাইলের ফাইল এক্সটেনশন দেখে বুঝতে হবে, সেটি দেখার জন্য ঠিক কী ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন৷ সংযুক্ত ফাইলে নামের শেষে .ডিওসি বা .পিপিটি হলে বুঝতে হবে এটি দেখার জন্য মাইক্রোসফট অফিস বা এর মতো সফটওয়্যার প্রয়োজন৷ মাইক্রোসফট অফিসের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন বিনা মূল্যের ওপেন অফিস সফটওয়্যারটি, নামাতে হবে www.openoffice.org/download এই ঠিকানার ওয়েবসাইট থেকে, যার আকার ১৩৭ মেগাবাইট৷

১০. নতুন কম্পিউটারে সফটওয়্যার চলছে না
পুরোনো কম্পিউটারের প্রিয় প্রোগ্রামটি নতুন কম্পিউটারে চলছে না দেখে মাথা গরম করার আগে দেখতে হবে, সেটি নতুন কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমে সমর্থনযোগ্য কি না৷ যেমন পুরোনো অনেক সফটওয়্যার উইন্ডোজ ৮-এ কাজ না-ও করতে পারে৷ এ ক্ষেত্রে পুরোনো ওই সফটওয়্যারটি নতুন অপারেটিং সিস্টেমে ইনস্টল করার আগে মূল সেটআপ ফাইেল ডান ক্লিক করে প্রোপার্টিজ অপশন নির্বাচন করতে হবে৷ সেখান থেকে কম্প্যাটিবিলিটি ট্যাব নির্বাচন করে ‘রান দিস প্রোগ্রাম ইন কম্প্যাটিবিলিটি মোড ফর’ অপশনে টিক দিয়ে নিচের মেনুতে থাকা অপারেটিং সিস্টেমের তালিকা থেকে সফটওয়্যারটি আগে যে অপারেটিং সিস্টেমে ভালোভাবে চলত, সেটি নির্বাচন করে ওকে করতে হবে৷ তারপর সেটি ইনস্টল করুন৷
ম্যাক ওএস এক্সের জন্য বানানো সফটওয়্যার অবশ্যই উইন্ডোজ কম্পিউটারে চলবে না৷ আবার ৩২-বিট প্রযুক্তির প্রোগ্রাম ৬৪-বিট কম্পিউটারে চলবে ঠিকই কিন্তু উল্টোভাবে ৬৪-বিট প্রোগ্রাম ৩২-বিট সিস্টেমে চলবে না৷ সব ধরনের ফাইল উইন্ডোজে চলবে এমনটা নিশ্চিত করে বলা যাবে না৷ যেমন .এপিপি এক্সটেনশনের কোনো ফাইল উইন্ডোেজ চলবে না৷ কারণ, এই এক্সটেনশনের ফাইল ম্যাক ওএস এক্সে চলার জন্য সমর্থনযোগ্য৷ অনলাইনে ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি দেখতে সমস্যা হলে বুঝতে হবে, জাভা অথবা ফ্ল্যাশ প্লেয়ার ইনস্টল করা নেই৷ এ ক্ষেত্রে ব্রাউজার নিজ থেকেই আপনাকে জানিয়ে দেবে, ঠিক কোন প্লাগ–ইন ইনস্টল করতে হবে৷ অ্যাডবি ফ্ল্যাশ প্লেয়ার http://get.adobe.com/flashplazer ঠিকানার ওয়েব থেকে নামাতে পারবেন৷

বিশেষ সতর্কতা
কম্পিউটারের কোনো সমস্যা একেবারেই বুঝতে না পারলে সেটিতে হাত না দেওয়াই ভালো৷ ওয়ারেন্টি বহাল থাকা অবস্থায় নিজে নিজে হার্ডওয়্যার বা সিস্টেমে হাত দেওয়া যাবে না বা তৃতীয় কোনো পক্ষের সেবা নেওয়া যাবে না৷ শর্ত ভঙ্গ হলে বিক্রয়-পরবর্তী বিনা মূল্যের ওয়ারেন্টি সেবা বাতিল হয়ে যাবে৷ কম্পিউটারের কোনো সমস্যা জটিল মনে হলে প্রথমেই অভিজ্ঞ কোনো বন্ধু বা এ বিষয়ে জ্ঞান রাখেন, পরিচিত এমন কাউকে দেখাতে পারেন৷ তারপর পেশাগতভাবে যাঁরা কম্পিউটার সমস্যার বাণিজ্যিক সেবা দিয়ে থাকেন, তাঁদের কাছে যেতে পারেন৷

 

Tuesday, January 28, 2014

How to Visitor lost a website

যে ভুলগুলো সাইটে কাংখিত ভিজিটর বা ট্রাফিক আনতে ব্যর্থ হয়। মাঝে মাঝে সাইটে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন আনা হয়। সে সময় সাইটের এসইও সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে অনাকাংখিত ভুলে ট্রাফিক হারিয়ে যায়। এ ভুলগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন।
এখানে তেমনি গুরুত্বপূর্ণকিছুভুল নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার মাধ্যমে আপনি পুরাতন ভিজিটর বা কাংখিত নতুন ভিজিটর পেতে পারেন।

৩০১ রিডাইরেক্টশন ছাড়াই পার্মালিংক চেঞ্জ করা
 একটা ওয়েবসাইটের এসইও এর জন্য পার্মালিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি একটি নতুন ব্লগ সাইট শুরু করেন সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একটি ক্লিন পার্মালিংক ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সমস্যা হলো, পুরাতন ব্লগের পার্মালিংক পাল্টালে।

আপনার সাইটের যদি পোস্ট সংখ্যা খুবই কম হয় তাহলে এটি কোনো বিষয় নয়! আপনার সাইটের পার্মালিংক পাল্টালে আগের পোস্টলিংকগুলো নতুন করে ইনডেক্স হয়, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আপনার পোস্টলিংকগুলো আর কাজ করবে না। ফলে আপনি ঐ লিংক থেকে ভিজিটরগুলো হারাবেন।
তবে এই সমস্যার সমাধানও আছে। আমরা একটি পার্মালিংক থেকে অন্য পার্মালিংকে মাইগ্রেট করার প্লাগইন ব্যবহার করতে পারি। এক্ষেত্রে অবশ্যই ৩০১ রিডাইরেক্টশন ব্যবহার করবেন। ৩০১ রিডাইরেক্টশন চেকারের মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার রিডাইরেক্ট হওয়া পার্মালিংকগুলো চেক করতে পারবেন। আর হ্যা, পার্মালিংক পাল্টালে অবশ্যই সাইটম্যাপ রিজেনারেট করবেন, সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করবেন।

সাইটম্যাপ মিসিং
 কোনো সাইটের বিভিন্ন পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স করার জন্য সাইটম্যাপের ভূমিকা অত্যাধিক। আপনি অবশ্যই আপনার সাইটের সাইটম্যাপ সম্পর্কে নিশ্চিত থাকবেন এবং সেটিতে যেনো আপনার সব পোস্টের লিংক থাকে। সাইটম্যাপ হিসেবে গুগল এক্সএমএল সাইটম্যাপ ও ওয়ার্ডপ্রেস এসইও প্লাগইন খুবই জনপ্রিয়। প্রয়োজনে আপনি ছবি ও ভিডিও ইনডেক্সের জন্য এ ধরণের প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সাইটে যদি বেশি পরিমানে ভিডিও থাকে তাহলে আপনি ইয়স্ট ভিডিও এসইও প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সাইটের ফুটারে সাইটম্যাপ লিংকও রাখতে পারেন, এটি সার্চ ইঞ্জিনকে অতি সহজেই সাইটম্যাপ বুট করার কাজে সহায়তা করবে। আপনাকে অবশ্যই সাইটম্যাপে কোনো লিংক মিসিং হচ্ছে কিনা সেটি কিছুদিন পরপর পরীক্ষা করা উচিত। প্রয়োজনে সাইটম্যাপটি আনচেক করে পুনরায় চেক করতে হবে।

এইচটিএক্সেস ফাইল
 পার্মালিংক রিডাইরেক্টশন অথবা এইচটিএক্সেস অপটিমাইজেশন সমাধানের জন্য কিছু ব্লগার এইচটিএক্সেস ফাইল পরিবর্তনের কথা জানান। এটি একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, তাই এই ফাইলটি পরিবর্তণের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পরিবর্তণ করতে চাইলে অবশ্যই আগে এই ফাইলটির ব্যাকআপ নিয়ে নেবেন। এই ফাইলে কোনো ধরনের মিসিং হলে শুধু ট্রাফিক নয়, আপনার সাইটটি ডাউন হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি এইচটিএক্সেস ফাইল পরিবর্তনের জন্য মেটা রোবট প্লাগইন ব্যবহার করে থাকেন, তবে অবশ্যই আপনার সিপ্যানেল বা এফটিপিকে কোনো পরিবর্তণ আনডু করার ব্যবস্থা রাখবেন।

রোবট.টেক্সট ফাইল
 রোরট.টেক্সট কোনো সাইটের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল। যখন সার্চ ইঞ্জিন বট আপনার ব্লগে আসে, তখন এই ফাইলই নির্ধারণ করে সার্চ ইঞ্জিন কোন পোস্ট বা পেজ ইনডেক্স এবং ক্রল করবে। তাই আপনার সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালো অবস্থানে রাখতে অবশ্যই রোবট.টেক্সট ফাইলকে ভালোভাবে অপটিমাইজ করবেন। কখনোই বেশিরভাগ ফাইল বা পেজকে ডিজঅ্যালাউ করে রাখবেন না।

থিম কাস্টোমাইজেশন
 আপনি যখন আপনার সাইটের থিম কাস্টোমাইজেশন করবেন তখন অবশ্যই এগুলো একটি ডকুমেন্ট রেখে দেবেন। পরবর্তীকে কোনো সমস্যা হলে আপনি এই পরিবর্তনগুলো সহজেই চিহ্নিত করে আগের অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন। কারণ ফ্রি থিমগুলোর ক্ষেত্রে অনেক সময় আপনার ব্যবহৃত প্লাগইনের সামঞ্জস্য না থাকায় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কিছু কিছু প্লাগ-ইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করেও থাকে।

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন
 আপনার সাইটে অবশ্যই প্রয়োজনীয় প্লাগইন ছাড়া অহেতুক কোনো প্লাগইন ব্যবহার বা ইনস্টল করে রাখবেন না। অনেক সময় অনাকাংখিত প্লাগইন বা প্লাগইনের ব্যবহার বেশি হলে সাউটের লোডিং টাইম বেশি হয়ে যায়। যা ভিজিটর হারানোর ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। তাই কোনো প্লাগইন ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই এটির রিভিউ পড়ে নিবেন এবং এটি আপনার সাইটে সাপোর্ট করবে কিনা সেটি পরীক্ষা করে নিবেন।

এসইও টাইটেল ও ডেসক্রিপশন
 আপনি যদি অল ইন এসইও, ইয়স্ট ওয়ার্ডপ্রেস এসইও বা অন্যকোনো জনপ্রিয় এসইও প্লাগইন ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এসইও টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশনের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অন্যথায় সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেজে থাকা আপনার জন্য কষ্টকর হয়ে যেতে পারে।

থিম পরিবর্তণ
 অনেকেই কারণে অকারণে থিম পরিবর্তণ করেন। আপনার সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে মানানসই একটি ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম থিম যেমন জেনেসিস বা থিসিস থিম ব্যবহার করতে পারেন। ফ্রি থিম বা প্রিমিয়াম থিম নিয়ে বিতর্কে যেতে চাই না, তবে প্রিমিয়াম থিমে অনেক ধরণের অ্যাডভ্যান্টেজ বা বাড়তি ফিচার থাকে। ইনস্টল করার আগেই থিমটিতে কোনো ক্ষতিকর ফাইল বা স্পাইওয়ার, ভাইরাস, স্প্যাম ফাইল না থাকে সেটি পরীক্ষা করে নিবেন।

ব্লগ সিকিউরিটি
 আপনি যদি ফ্রি থিম ব্যবহার করে থাকেন তবে আগেই এটিতে ম্যালিসিয়াস বা স্প্যাম ফাইল আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে নিবেন। কারণ অনেক ক্ষেত্রে এ ধরণের ফাইল আপনার সাইটের ভিজিটরদেরকে অন্য সাইটে রিডাইরেক্ট করে দিতে পারে। তাই আপনার সাইটের সিকিউরিটির বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ট্যাক (থিম অথেনটিসিটি চেকার) প্লাগইনটি ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া সিকিউরিটি প্লাগইন ব্যবহার করতে পারেন।
এসইও পরিবর্তণ

 আপনি আপনার ব্লগে যে এসইও প্লাগইন ব্যবহার করেন না কেনো এটি পরিবর্তণ করতে যাবেন না। যদি আপনি আরো ভালো প্লাগইন বা প্লাগইনের পরিবর্তে ভালো পেইড থিম ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ্চিত থাকবেন যে আপনার এসইও টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন যেনো ঠিক থাকে। কারণ এটির পরিবর্তণ হলে আপনার সাইটের ট্রাফিকের ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব ফেলবে।

ব্লগ ব্যাকআপ
 বিপদ কখনো বলে আসে না! তাই আপনার সাইটের কোনো ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত সাইটের ব্যাকআপ রাখুন। ফলে প্রয়োজনে আপনি সহজেই আপনার সাইট রিস্টোর করতে পারবেন। ব্যাকআপ রাখার জন্য অনেক উপায় আছে। সম্ভব হলে দিনে একবার অথবা প্রতি সপ্তাহে একবার আপনার সাইটের ম্যানুয়ালি অথবা অটোমেটিক ব্যাকআপ রাখুন। প্রিমিয়ামের দিক থেকে অবশ্যই ভল্টপ্রেস ভালো। এটি একসাথে আপনার সাইটের সিকিউরিটি ও অটোমেটিক ব্যাকআপ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Tips for Photography work Professionalism

ডিজিটাল ক্যামেরার যুগে নেই ফিল্ম ডেভেলপের ঝামেলা। সে ছবি দিয়ে ওয়েব অ্যালবাম করতে পারেন। আবার অসম্ভব ভালো ফটো তুলে ফেলতে পারলে জিতে নিতে পারেন পুরস্কারও। এ রকম কয়েকটি সাইট নিয়ে আজকের আলোচনা।

http://www.photoshare.org/
ফটোশেয়ার হচ্ছে জন হপকিন্স বুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের একটি সার্ভিস। এ সার্ভিসের মাধ্যমে তারা
সারা বিশ্বে অলাভজনক সংগঠনগুলোকে সহায়তা করে আসছে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। এখানে যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ছবি জমা দিতে পারবেন। শুধু জমা নয়, প্রয়োজনে ডায়েরি, ক্যালেন্ডার, পোস্টার বা যে কোনো পাবলিকেশনে ব্যবহারের জন্য ছবি এখান থেকে সংগ্রহও করা যায়। এ কার্যক্রমটিকে জনপ্রিয় করার জন্য সংগঠনটি ২০০৩ সাল থেকে নিয়মিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে। ২০০৫ সালেই বাংলাদেশ থেকে পাঠানো ছবি শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করে। এ বছরও এ রকম একটি প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। এ সাইটে সারা বছরই ছবি পাঠানো যায়। আর ছবি সাবমিট করা যায় একেবারে বিনামূল্যে।

http://www.interaction.org/
ইন্টারঅ্যাকশন হচ্ছে ইউএস বেসড বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কোয়ালিশন। তারাও ফটোগ্রাফিকে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে। ২০০৪ সাল থেকে তারা ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা করে আসছে। অ্যামেচার এবং প্রফেশনাল যে কেউ এটিতে অংশ নিতে পারে। এ সাইটে যে পেজে আপনি ফটো সাবমিট করতে পারবেন তার ওয়েব অ্যাড্রেস হলো http://www.interaction.org/media/photo_form_2007.html

http://picasaweb.google.com
পিকাসা একটি জনপ্রিয় ফটো অর্গানাইজিং সফটওয়্যার। বর্তমানে পিকাসা গুগলের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এ সফটওয়্যারটি গুগল বিনামূল্যে বিতরণ করে থাকে। পিকাসা এবং গুগল সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি ওয়েব সার্ভিস চালু করেছে, যার নাম পিকাসা ওয়েব অ্যালবাম। গুগল শুধু জি-মেইল ব্যবহারকারীদের এ সুবিধা দেয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে আপনি পাবেন ১ গিগাবাইট স্পেস, যেখানে স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটির ৪,০০০ ছবি রাখা সম্ভব। পিকাসা সফটওয়্যার ব্যবহার করে অথবা ওয়েব অ্যালবাম থেকে সরাসরি ছবি আপলোড করা যায়। ছবিগুলো ভিন্ন অ্যালবাম তৈরি করে সাজিয়ে রাখা যায়। ও লিঙ্ক পাঠিয়ে অন্য যে কারো সঙ্গে ছবি শেয়ার করা যায়। আবার অপরের তৈরি অ্যালবামটি ডাউনলোড করেও নেয়া যায়। ছবিতে কমেন্ট দিতে পারবেন। তবে আপনি যে অ্যালবামগুলো পাবলিক করবেন, শুধু সেগুলো সবাই দেখতে পারবে। এসব কিছুই আপনি পাবেন বিনামূল্যে। অবশ্য অতিরিক্ত স্পেসের জন্য গুগলকে চার্জ দিতে হয়।

http://www.flickr.com/
ফ্লিকার একটি জনপ্রিয় সাইট। এটি ইয়াহু কম্পানির একটি শাখা প্রতিষ্ঠান। ইয়াহুতে যাদের অ্যাকাউন্ট আছে তারা সরাসরি এটি ব্যবহার করতে পারবেন। এতে প্রচুর ছবি আর্কাইভ করা আছে। ফ্লিকারের মাধ্যমে খুব সহজেই অ্যালবাম তৈরি করা যায়, বন্ধুদের সঙ্গে ছবি শেয়ার করা যায়। এখানে ছবি অর্গানাইজ করার জন্য বেশ কিছু অপশন আছে। পরিচিতজনদের সঙ্গে ছবির আদান-প্রদান করা যায়। বন্ধুর নতুন ছবি আপলোডের সঙ্গে সঙ্গেই আপনি জেনে যাবেন। আলাপ-আলোচনার জন্য কয়েকজনকে নিয়ে গ্রুপ তৈরি করা যায়। সেটি হতে পারে পাবলিক অথবা পুরোপুরি প্রাইভেট। ফ্লিকার প্রতি ক্যালেন্ডার মাসে ১০০ মেগাবাইট ছবি আপলোডের সুবিধা দেয়। তবে তাদের প্রো-অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে হলে বছরে ২৫ ডলার দিতে হয়।

http://www.bdshots.com
এটি একটি বাংলাদেশি সাইট। এখানে বেশ কিছু অ্যালবামের মাধ্যমে ছবিগুলো সাজানো হয়েছে। আছে ই-কার্ড। এখান থেকে খুব সহজে পরিচিতজনদের বিভিন্ন দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ই-কার্ড পাঠাতে পারবেন। প্রতিটি অ্যালবামের মধ্যে আবার সাব-অ্যালবামের মাধ্যমে ছবিগুলো বিন্যস্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যালবামের ভেতরে যে বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে তা হলো প্রাকৃতিক দৃশ্য, বিল্ডিং ও স্থাপত্য শিল্প, ঐতিহাসিক নিদর্শন, ফুল-ফল, পাখি, ধর্মীয় স্থাপনা এবং আরো অনেক কিছু।
আপনার নিজের ফটো অ্যালবাম তৈরি করতে পারবেন এখানে। সে জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বন্ধুদের লিঙ্কটি পাঠিয়ে দিতে পারেন অথবা আপনার ছবিকে ই-কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
সাইটটির যা নেই তা হচ্ছে কোনো চুক্তিপত্র। ছবি জমা দেয়ার সময় বা নেয়ার সময় কোনো চুক্তি করতে হচ্ছে না। এর ফলে এ সাইটের যে আইনি সমস্যা সেটা হলো যে কেউ ইচ্ছা করলে এখান থেকে ছবি নিতে পারবেন; কিন্তু সে ছবিটি কোথাও ব্যবহার করতে হলে ন্যুনতম যে শর্তগুলো অনুসরণ করতে হয় তার উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্য, এ সাইটটি তৈরি হয়েছে একটি ওপেন সোর্স টুল ব্যবহার করে। আপনারা যারা ফটো গ্যালারির একটি সাইট তৈরি করতে চান তারা এটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ডাউনলোড করার ওয়েব ঠিকানা http://gallery.sourceforge.net

Free Develop your Website

একটি ওয়েবসাইট আপনার প্রতিষ্ঠানকে পরিচিত করাতে পারে সমগ্র বিশ্বের সাথে অন্য যে কোনো উপায়ের চেয়ে দ্রুত ও সহজে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই প্রজন্মে ওয়েবসাইটই পারে আপনার প্রতিষ্ঠানের তথ্যাদি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য ওয়েবসাইট। এসব সাইটের একেকটি একেক ধরনের উদ্দেশ্যে তৈরি। এগুলোর কোনোটা ব্যক্তিগত, কোনোটা প্রাতিষ্ঠানিক। ইচ্ছা করলে আপনিও আপনার প্রতিষ্ঠানের কিংবা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তবে আমরা জানি ওয়েবসাইট তৈরি করা একটি ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার। প্রথমে আপনার সাইটের জন্য প্রয়োজন হবে নিজস্ব নাম যাকে ডোমেইন বলা হয়ে থাকে। এই ডোমেইনটি আপনাকে কিনতে হবে। এখানেই শেষ নয়। ডোমেইন ক্রয়ের পর আপনাকে হোস্টিংয়ের জন্যও দ্বারস্থ হতে হবে বিভিন্ন কোম্পানির। হোস্টিং হচ্ছে একটি জায়গা বা স্থান যেখানে আপনার সাইটের কন্টেন্ট যেমন ছবি, অডিও-ভিডিও ইত্যাদি সংরক্ষিত থাকে। এই হোস্টিংয়েও রয়েছে বিভিন্ন ধরণের প্ল্যান। সর্বনিম্ন ২০ মেগাবাইট থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাইজের হোস্টিং কিনতে পারবেন আপনি। ডোমেইন ও হোস্টিং পেলে তারপরই আপনি আপনার সাইট প্রকাশ করতে পারবেন।
কিন্তু ইন্টারনেটে এমন কিছু সেবাদাতা ওয়েবসাইট আছে যারা আপনাকে সহজেই ওয়েবসাইট তৈরির সুযোগ দেবে। ওয়েবসাইট তৈরিতে সাধারণত কোডিংয়ের প্রয়োজন হয় কিন্তু এসব সেবার মাধ্যমে আপনি কোনোপ্রকার কোডিং ছাড়াই আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। শুধু এতটুকুই নয়, এইসব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে বিনামূল্যে সাইট তৈরি করার সুযোগও দেবে। তবে সেসব সেবায় অবশ্য কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন, আপনাকে সাবডোমেইন দেয়া হবে, আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেয়া হতে পারে ইত্যাদি। তো, আসুন জেনে নিই তেমন কিছু জনপ্রিয় ও বিখ্যাত সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কথা।


ফিফটি ওয়েবস (http://www.50webs.com/)
প্লেইন এইচটিএমএল দিয়ে তৈরি ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে ফিফটি ওয়েবস। ফিফটি ওয়েবসের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে নো অ্যাডস বা কোনো বিজ্ঞাপন না দেয়া। সাধারণ কোডিংয়ে তৈরি (যেমন ফ্রন্টপেজ ব্যবহার করে তৈরি ওয়েবসাইট) সাইট হোস্টিংয়ের জন্য অনন্য একটি সার্ভিস হচ্ছে ফিফটি ওয়েবস। ফিফটি ওয়েবসের প্রিমিয়াম ও ফ্রি উভয় ধরণের সেবাই আছে। যেহেতু আমরা বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে যাচ্ছি, তাই আসুন জেনে নিই ফিফটি ওয়েবসের ফ্রি ওয়েব হোস্টিং পরিকল্পনায় কী কী আছে।
ফিফটি ওয়েবস ব্যবহার করলে আপনি পাবেন সর্বোচ্চ ৬০ মেগাবাইট পর্যন্ত জায়গা। বিজ্ঞাপণমুক্ত পরিবেশে সাইট নির্মাণের সুবিধা প্রদানকারী এই সার্ভিসে আপনি আপনার ফাইল আপলোড করার জন্য পাবেন একটি এফটিপি অ্যাকাউন্ট যাতে এক্সেস নেয়া যাবে যে কোনো কম্পিউটার থেকে। আনলিমিটেড ব্যান্ডওয়াইডথ ও পপ-থ্রি সার্ভার ছাড়াও ফিফটি ওয়েবস ব্যবহারকারীরা পাবেন সহজ কন্ট্রোল প্যানেল ও ওয়েবভিত্তিক ফাইল ম্যানেজার। এছাড়াও ছোটখাট সম্পাদনার জন্য রয়েছে বিখ্যাত এডিটর। এছাড়াও প্রতিটি অ্যাকাউন্টের সাথে পাবেন একটি করে ইমেইল অ্যাকাউন্ট। ফিফটি ওয়েবসে অ্যাকাউন্টের জন্য তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফ্রি প্ল্যানে সাইন আপ বাটনে ক্লিক করুন। তারপর ইউজ এ সাবডোমেইন এ টিক দিয়ে নেক্সট বাটনে ক্লিক করুন এবং প্রদর্শিত ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করুন। লক্ষ্য করুন, ফিফটি ওয়েবসে সাইট তৈরি করার পর আপনাকে একটি সাবডোমেইন দেয়া হবে। যেমন : http://yoursitename.50webs.com/

ফ্রি হোস্টিয়া (http://www.freehostia.com)

ফ্রি হোস্টিয়া হচ্ছে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনন্য একটি সেবা। যারা ওয়েবসাইট তৈরিতে একটু অ্যাডভান্সড, যারা পিএইচপি দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান কিংবা যারা সিএমএস জুমলা, দ্রুপাল কিংবা ব্লগ ইঞ্জিন ওয়ার্ডপ্রেস, মুভেবল টাইপ ইত্যাদি ইন্সটল করে ব্যবহার করতে চান, তাদের জন্য ফ্রি হোস্টিয়া হচ্ছে পারফেক্ট একটি সার্ভিস। প্রায় সবধরণের সুবিধাসম্পন্ন এই সার্ভিসের আওতায় আপনি পাবেন একটি সাবডোমেইন ও ২৫০ মেগাবাইট জায়গা। কোনো সেটাপ ফি নেই এবং মাসিক ব্যান্ডওয়াইডথ হচ্ছে ৫ গিগাবাইট। সর্বোচ্চ দশটি সাবডোমেইন রেজিস্টার করতে পারবেন আপনি ফ্রি হোস্টিয়া ব্যবহার করে এবং একটি মাইএস.কিউ.এল ডাটাবেস পাবেন যার সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা হবে ১০ মেগাবাইট। পপ-থ্রি অ্যাকাউন্ট পাবেন তিনটি এবং এফটিপি অ্যাকাউন্ট পাবেন একটি। এছাড়াও আপনি ফ্রি হোস্টিয়ার ব্যবহারবান্ধব ওয়েববেসড ফাইল ম্যানেজারও ব্যবহার করতে পারবেন সহজেই। ৯৯.৯% আপটাইমের গ্যারান্টিসহ ফ্রি হোস্টিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেবা হচ্ছে ফ্রি স্ক্রিপ্ট ইন্সটলেশন। সাধারণত জুমলা বা ওয়ার্ডপ্রেস জাতীয় ইঞ্জিন ইন্সটল করতে হলে আপনাকে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে মূল ফাইলটি ডাউনলোড করতে হবে এবং ডিকম্প্রেস করার পর এফটিপি ক্লায়েন্স ব্যবহার করে আবার তা আপলোড করতে হবে আপনার এফটিপিতে। কিন্তু ফ্রি হোস্টিয়া ব্যবহারকারীদের এই ঝামেলা নেই। একটি ক্লিকের বিনিময়েই আপনি বিখ্যাত ব্লগ ইঞ্জিন ওয়ার্ডপ্রেস, টেক্সটপ্যাটার্ন, মুভেবল টাইপ, বি২ইভ্যুলেশন ইত্যাদি, সিএমএস জুমলা, দ্রুপাল, ওপেন রিয়েলটি, নিউক্লিয়াস ইত্যাদিসহ প্রায় ৩৪টি বিভিন্ন ধরণের ইঞ্জিন ইন্সটল করতে পারবেন। ফ্রিহোস্টিয়ায় ওয়েব হোস্ট করলে আপনার সাইটে কোনো বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করা হবে না। ফ্রিহোস্টিয়ায় আপনি ফিফটি ওয়েবসের মতই সাবডোমেইন পাবেন। আপনার সাবডোমেইন হবে এরকম: http://aisajib.freehostia.com। তবে ফ্রিহোস্টিয়ায় যদি আপনি সাইট তৈরি করেন, তাহলে আপনাকে প্রতি বছর আপনার অ্যাকাউন্টকে নবায়ন তথা রিনিউ করে নিতে হবে।

জাইমিক ফ্রি হোস্টিং (http://www.zymic.com/)
ফ্রি হোস্টিয়ার মত জাইমিক ফ্রি হোস্টিংও একটি জনপ্রিয় ওয়েব ডেভেলপিং সেবা যেখানে আপনি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারবেন। জাইমিক প্রিমিয়াম সার্ভিসের পাশাপাশি বিনামূল্যের সেবায় আপনাকে দিবে ৫০০০ মে.বা. এর এক বিশাল স্পেস। পিএইচপি মাইএডমিন ও ৫টি মাইএসকিউএল ডাটাবেসের সুবিধা সম্বলিত জাইমিক ফ্রি হোস্টিংয়ে সাবডোমেইনে যত ইচ্ছে ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারবেন। এটি ফ্রি হোস্টিয়ার মত কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার বা এই জাতীয় ইঞ্জিন সাপোর্ট করে তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অন্য একটি এফটিপি ক্লায়েন্ট ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ছোটখাট সম্পাদনা, ফাইল আপলোড বা ডিলিটের জন্য জাইমিকের আছে ওয়েববেসড ফাইল ম্যানেজার। মাইএসকিউএল ডাটাবেস সেটিংসের জন্যও আছে ওয়েববেসড মাইএসকিউএল ম্যানেজমেন্ট সুবিধা। আপনার সাইটের স্ট্যাটিস্টিকস সম্বন্ধে আপনাকে আপডেটেড রাখার জন্য জাইমিকের আছে নিজস্ব ওয়েবকাউন্টার, ওয়েবএলাইজার যা আপনার সাইট কতজন ব্যবহারকারী ভিজিট করেছেন তা সম্বন্ধে তথ্য প্রদর্শন করবে। যারা প্রফেশনাল ওয়েব হোস্টিং করতে চান তাদের জন্য জাইমিক হতে পারে সঠিক সেবা। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এতকিছুর বিনিময়েও জাইমিক আপনার সাইটে কোনো বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করবে না। অর্থাৎ, আপনার সাইট হবে ঠিক তেমনই, যেমনটা আপনি চান। কোনো বাড়তি বিজ্ঞাপণ আপনার সাইটকে দৃষ্টিকটু করবে না। যদিও জাইমিকে সিএমএস বা এজাতীয় ইঞ্জিন ইন্সটল করার সহজ কোন সুবিধা নেই, তবুও ৫০০০ মেগাবাইটের ওয়েবস্পেস ও মাসিক ৫০,০০০ মেগাবাইট ডাটা ট্রান্সফারের সুবিধা সম্বলিত জাইমিক ফ্রি হোস্টিং সত্যিই অসাধারণ একটি সেবা। জাইমিক ফ্রি হোস্টিংয়ে হোস্ট করা সাইটের ঠিকানা হবে এমন: http://yoursitename.vndv.com/

ইয়াহু জিওসিটিস (http://geocities.yahoo.com)
বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ইয়াহুতে অ্যাকাউন্ট নেই এমন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইমেইল সুবিধার জন্যই হোক, কিংবা ইয়াহু মেসেঞ্জারে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করার জন্যই হোক, ইয়াহুতে অ্যাকাউন্ট মোটামুটি সবারই আছে। ইয়াহুকে অনেকেই একটি ইমেইল সেবদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জানলেও মূলত ইয়াহুর আছে অনেক অনেক সেবা। ওয়েবসাইট ডেভেলপিংয়ের জন্যও আছে ইয়াহুর সার্ভিস। এমনকি আপনি চাইলে বিনামূল্যেও সাইট তৈরি করতে পারেন ইয়াহুর ফ্রি ওয়েব ক্রিয়েটিং সেবা, জিওসিটিস এর মাধ্যমে। যারা মোটামুটি একটি সাইট তৈরি করতে চান কোনো প্রকার কোডিং ছাড়াই, তাদের জন্য জিওসিটিস একটি ভালো সেবা হতে পারে। যদিও জিওসিটিস মাত্র ১৫ মেগাবাইট জায়গা দেয়, তবুও প্রাথমিকভাবে আপনি ইয়াহু জিওসিটিস ব্যবহার করে দেখতে পারেন। ইয়াহু জিওসিটিসে সাইট নির্মাণ করলে আপনার সাইটের ঠিকানা হবে http://www.geocities.com/youryahooid

গুগল সাইটস (http://sites.google.com)
ইয়াহুর মত গুগলেরও আছে সহজে কোডিংয়ের অভিজ্ঞতা ছাড়া সাইট নির্মাণের সেবা। বলা বাহুল্য, ইয়াহু জিওসিটিসের চেয়ে গুগলের ওয়েব ডেভেলপিং সেবা বেশি জনপ্রিয়। গুগলের এই সেবার নাম ছিল গুগল পেজ ক্রিয়েটর। জিমেইল আইডি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট নির্মাণ করতে পারতেন। কিন্তু সম্প্রতি গুগল গুগল সাইটস নামে নতুন একটি সেবা চালু করেছে। গুগল সাইটসে আপনি আপনার জিমেইল আইডি ব্যবহার করে প্রবেশ করতে পারবেন। এখানে আপনি পাবেন ১০০মেগাবাইট জায়গা, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। গুগল সাইটসে আপনি শুধু প্রাথমিকভাবে শেখার জন্যই নয়, প্রয়োজনীয় সাইটও নির্মাণ করতে পারেন খুব সহজে। এর সহজ ও সুন্দর ইন্টারফেসে আপনি গুগল নির্ধারিত টেমপ্লেটের উপর সাইট নির্মাণ করতে পারবেন। গুগল সাইটসের রয়েছে ২৩টি আকর্ষণীয় থিম যা আপনার সাইটের সৌন্দর্য্য বহুগুণে বৃদ্ধি করে দিবে। গুগল সাইটসে আপনি একাধিক সাইট নির্মাণ করতে পারবেন। আপনার সাইটের ঠিকানা হবে : http://sites.google.com/site/yoursitename। প্রতিটি সাইটে আপনি একাধিক পৃষ্ঠা তৈরি করতে পারবেন। সাব-পৃষ্ঠা তৈরি করতে পারবেন। এছাড়াও সাইটের সাইডবারে ওয়েবসাইটের সাম্প্রতিক কার্যক্রম, কোনো নির্দিষ্ট দিনের জন্য কাউন্টডাউন, নেভিগেশন কিংবা কিছু টেক্সট লিখে উইজেট আকারে রাখা যাবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি চাইলে এই সাইট কারা কারা সম্পাদনা করতে পারবে বা কে কে দেখতে পারবে সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার নিজের অন্য কোনো ঠিকানাতেও এই সাইটটি
প্রদর্শন করতে পারেন।
সব মিলিয়ে গুগল সাইটস নতুন সাইট নির্মাতাদের জন্য অসাধারণ একটি সেবা। আপনি ইচ্ছে করলে গুগল সাইটস ব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে আকর্ষণীয় সাইট নির্মাণ করতে পারেন। উল্লেখ্য, গুগল সাইটস সম্পূর্ণ নতুন একটি সেবা বলে এখনো অনেক সুবিধা এতে এখনো যুক্ত হয়নি যা আগের গুগল পেজ ক্রিয়েটরে ছিল। গুগলের মতে, অতি শীঘ্রই গুগল সাইটসের জন্য যুক্ত করা হবে কার্যকরী ও প্রয়োজনীয় সব সুবিধা।

ফ্রিসার্ভারস (www.freeservers.com)
কোডিংয়ের অভিজ্ঞতা বা সাইট নির্মাণের দক্ষতা ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করার আরেকটি জনপ্রিয় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে ফ্রিসার্ভারস। ফ্রিসার্ভারসের ফ্রি প্ল্যানের আওতায় আপনি পঞ্চাশ মেগাবাইট জায়গার উপর দৃষ্টিনন্দন ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। মাসিক ১ গিগাবাইট ব্যান্ডওয়াইডথের এই সেবায় আপনি পাবেন ফাইল ম্যানেজার, কাউন্টার, সাইট ভিজিটরের মন্তব্য গ্রহণের জন্য গেস্টবুক, সহজে সাইট তৈরি করার জন্য সাইট বিল্ডার, সাইট কপিয়ার, ওয়েবরিং ইত্যাদি। তবে ফ্রিসার্ভারসে সাইট তৈরি করলে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপণ প্রদর্শন করবে ফ্রিসার্ভারস। এছাড়া যে ইমেইল ঠিকানা দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করবেন, সে ইমেইলে নিয়মিত বিজ্ঞাপণ আসার ঝামেলা তো রয়েছেই। তবে সব মিলিয়ে মোটামুটি একটি সাইট নির্মাণের জন্য ফ্রিসার্ভারস ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
ওয়েবসাইট প্রযুক্তির এক অনন্য আবিষ্কার। আপনি সম্পূর্ণ একটি অফিসের কাজ সেরে নিতে পারেন সাধারণ একটি ওয়েবসাইট দিয়ে। এছাড়াও ওয়েবসাইটের রয়েছে অসংখ্য ব্যবহার ও উপকারিতা। তাই উপরের পাঁচটি সাইট থেকে পছন্দমতো সেবা বেছে নিয়ে আপনিও তৈরি করুন আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট, বিনামূল্যে। আর প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে সবসময় রাখুন এক ধাপ আগে।