AdGuru

This is default featured slide 1 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 2 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 3 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 4 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

This is default featured slide 5 title

The Largest and Most Popular technology news at Bengali, English, PC technology, computer, windows, hardware, software, reviews, PC gaming, tech news, software downloads, drivers, analysis and many more news enjoy, please stay tuned

Saturday, January 18, 2014

iPhone 5 OR iPhone 4S

আর মাত্র দুই দিন বাকী! সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অ্যাপল ঘোষণা দিবে তাদের নূতন iPhone অক্টোবরের ৪ তারিখ। এটা হতে পারে iPhone 5 অথবা iPhone 4S। ইতিমধ্যে অনেকেই নূতন আইফোন কেনার চিন্তা করে ফেলছে। কেমন হতে পারে সম্ভাব্য আইফোন ?

iphone5-crystal 
 
১. ডিসপ্লে : পূর্বের সবগুলি আইফোনের ডিসপ্লে ছিল ৩.৫ ইঞ্চি । তাই অনুমান করা হচ্ছে যে, নূতন আইফোনের ডিসপ্লে একটু বড় হবে। এটা হতে পারে ৪.১ ইঞ্চি।

২. প্রসেসরঃ বর্তমানের iPhone 4-এর প্রসেসর হল 1GHz A4 processor। গেইম খেলাটা আরো বেশি উপভোগ্য করে তোলার জন্য কিংবা অ্যাপ্লিকেশন আরো দ্রুত রান করার জন্য অনুমান করা হচ্ছে যে নূতন আই ফোনে ব্যবহৃত হবে 1GHz Dual-core A5 processor। উল্লেখ্য একই প্রসেসর ব্যবহার করা হয় iPad2 -তে। তাছাড়া অরিজিনাল আইপ্যাডেও বর্তমান আইফোনের A4 processor ব্যবহার করা হয়েছিল।

৩. ক্যামেরা ঃ বর্তমান আইফোনের ক্যামেরাটি ৫ মেগাপিক্সেলের এবং 720P HD (720 progressive) video সাপোর্ট করে। ইতোমধ্যে এন্ড্রয়েড ফোনগুলিতে ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা বিদ্যমান। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে, নূতন আইফোনটিতেও ৮ মেগাপিক্সেল বা তদূর্ধ্ব মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা থাকতে পারে, ভিডিও হতে পারে 1080P HD।

৪. দ্রুতগতির ইন্টারনেট ঃ অনুমান করা যাচ্ছে iPhone 5 দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক 4G LTE (Long Term Evolution 4G) সাপোর্ট করবে। কিন্তু LTE সাপোর্ট করার জন্য iPhone-এ LTE এন্টেনা ও বেসবেন্ড চিপ লাগাতে হবে যা হয়তবা iPhone-এর সাইজ বড় করে দিবে এবং এটা অ্যাপল হয়তবা চাইবে না। তবে নূতন iPhone দ্রুতগতির HSPA+ নেটওয়ার্ক সাপোর্ট করতে পারে যা নাকি 21mpbs ডাউনলোড স্পীড দিবে এবং এটিএন্ডটি এটার সার্ভিস দিবে। এক্ষেত্রে ভেরাইজন-কে নিয়ে অ্যাপলের অন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে কারণ ভেরাইজন CDMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

৫. অপারেটিং সিস্টেমঃ ধারণা করা হচ্ছে নূতন iPhone-এ iOS 5 অপারেটিং সিস্টেম থাকবে।

৬. ক্লাউড সার্ভিসঃ অনুমান করা হচ্ছে নূতন iPhone-এ iCloud সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত থাকবে যাতে রিমোটলি যেকোনো মোবাইল ডিভাইস ও কম্পিউটার থেকে গান এক্সেস করা যায় ও শোনা যায়। শুধুমাত্র গান-ই নয়, ছবি, ডকুমেন্ট, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশনও iCloud-এ রাখা যাবে ও ব্যবহার করা যাবে।

৭. ডিজিটাল ওয়ালেটঃ গুগল যেমন Nexus S 4G ফোনে গুগল ওয়ালেট চালু করেছে, এরকম ডিজিটাল ওয়ালেট iPhone-এও শুরু করা হতে পারে।

Tips for Laptop

প্রযুক্তির এই যুগে এসে দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে আমরা কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি। আর সেই কাজগুলো যদি আমাদের বাসার বাইরে বা এমন কোন স্থানে সম্পন্ন করতে হয় যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেক্ষেত্রে ল্যাপটপ খুবই সহায়ক এবং এখন পর্যন্ত বলতে গেলে একমাত্র দিক। অনেকেই হয়তো ট্যাবলেটের কথা বলবেন কিন্তু এখন পর্যন্ত ল্যাপটপের সমপরিমাণ ট্যাবলেট বাজারে আসেনি। তবে ভবিষ্যতে সম্ভবত ট্যাবলেটেও বর্তমানের সব প্রকার কাজই সম্পন্ন করা যাবে কেননা বর্তমানেই বেশ ভালো কনফিগারেশনের শক্তিশালী ট্যাবলেট বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
যাই হোক, বহনযোগ্য এই ল্যাপটপ কম্পিউটারের দু’টি প্রকারভেদ রয়েছে। একটি হচ্ছে, নোটবুক এবং অপরটি নেটবুক। আমরা আমাদের কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে নোটবুক অথবা নেটবুক কিনে থাকি। যাই হোক, আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে যত্ন করে আমাদের ল্যাপটপ ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হতে পারে। ভালো থাকতে পারে এর ব্যাটারি লাইফও। চলুন, জেনে নেই প্রিয় এবং প্রয়োজনীয় ল্যাপটপটির যত্ন কীভাবে করতে হবে। আমি বিস্তারিত খুঁটিনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এবং এই টিপস গুলোর মাঝে কিছু ইন্টারনাল সিস্টেম জনিত টিপসও আছে যা শুধু মাত্র ল্যাপটপই নয়, আপনার ডেক্সটপের জন্যেও প্রযোজ্য হবে।

১.
ল্যাপটপ এর উপর ভারী কিছু রাখবেন না। যেহেতু, ল্যাপটপের পুরুত্ব খুব বেশি নয় এবং এর উপর প্রান্তে ডিসপ্লে (মনিটর) অংশ থেকে থাকে তাই ভারী কোন কিছু রাখা বা কোন চাপ পরার কারণে ল্যাপটপটির ডিসপ্লেতে সমস্যা হতে পারে। এখানে জানিয়ে দেয়া ভালো, প্রযুক্তির বাজারে ডিসপ্লে পরিবর্তন করাটা কিছুটা ব্যয়বহুল।

২.
প্রয়োজন শেষে আপনার ল্যাপটপটির লিড নামিয়ে রাখুন। এতে করে অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা পাবে আপনার ল্যাপটপ। এছাড়াও এর ফলে স্ক্রিনে ময়লা বা দাগ পড়বে না।

৩. অনেক সময় আমরা হাতের উপর ল্যাপটপ রেখে কাজ করি। এক্ষেত্রে ল্যাপটপ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে সরানোর সময় কখনোই শুধু ডিসপ্লের (মনিটর) অংশে হাত রেখে সরাবেন না। হাতে রেখে কাজ করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন যেন আপনার হাত থেকে ল্যাপটপটি নিচে পরে না যায়; যদিও এখন অনেক ল্যাপটপেই ‘ফল প্রোটেকশন’ দেয়া থাকে তবুও সেই প্রোটেকশনটি খুব কম দূরত্বে থেকে পরার ক্ষেত্রেই কাজ করে। মনে রাখবেন, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদির গ্যারান্টি অথবা ওয়ারেন্টির ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-কানুন উল্লেখ থাকে এবং সেই নিয়মের বাইরে কোন ভাবে যদি আপনি আপনার ডিভাইসটি নষ্ট করে ফেলেন সেক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি অথবা গ্যারান্টি কাজ করবেনা।

৪. স্ক্রিন প্রোটেক্টরের সাথে সাথে কিবোর্ড প্রোটেক্টরও ব্যবহার করুন। এতে করে কিবোর্ডের কীগুলোর ফাঁক দিয়ে ধুলো জমবে না। বাজারে ১৫০ টাকার মধ্যে স্ক্রিন প্রোটেক্টর এবং ৭০ থেকে ৮০ টাকার মাঝে কিবোর্ড প্রোটেক্টর পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি মাঝে মাঝে মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়েও কিবোর্ড পরিষ্কার করতে পারেন। বাজারে ২৫০ টাকার মাঝে মিনি ইউএসবি ভ্যাকয়াম-ক্লিনার পাবেন।

৫. আমরা অনেকেই বাসার কাজের জন্যও ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি। সেক্ষেত্রে আমরা সাধারণত চার্জার লাগিয়েই ল্যাপটপ ব্যবহার করি। এখানে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিৎ তা হচ্ছে, প্রতিটি ল্যাপটপ ম্যানুফ্যাকচারারই তাদের ল্যাপটপ এর ব্যাটারির সুরক্ষার ক্ষেত্রে কিছু অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ডেল তাদের ল্যাপটপের সাথে ‘কুইকসেট’ নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে থাকে যেখানে কিছু অপশন থাকে যেমন, কত শতাংশ চার্জ হবার পরে ব্যাটারি আর চার্জ গ্রহণ করবেনা ইত্যাদি। কুইকসেটের সব ফিচারগুলোই ব্যাটারি রিলেটেড।

আপনিও আপনার ল্যাপটপটি জন্য এরকম অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ব্যাটারিকে কিছুটা হলেও সুরক্ষিত রাখতে পারেন। আর সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ব্যাটারিতে ল্যাপটপটি চালাবেন। এতে করে আপনার ল্যাপটপের ব্যাটারি ভালো থাকবে।

৬. সরাসরি সূর্যের আলো পরে অথবা স্বাভাবিকের চাইতে গরম- এমন কোন স্থানে ল্যাপটপ রাখবেন না বা ব্যবহার করবেন না। তবে মাঝে মাঝে ব্যাটারির চার্জ অর্ধেক রেখে সূর্যের আলোতে ব্যাটারি খুলে কিছুক্ষণ রেখে দিলে তা ব্যাটারির জন্য ভালো।

৭. ল্যাপটপে আপনার প্রয়োজন নেই এমন সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন না। দরকার হলে আপনি আপনার হার্ডডিস্কে পরবর্তী সময়ে সফটওয়্যারটির ব্যাকআপ ফাইল রেখে দিতে পারেন।

৮. মাঝে মাঝেই সিস্টেম ক্লিনার সফটওয়্যার দিয়ে ল্যাপটপ কম্পিউটারটির হার্ডডিস্ক স্ক্যান করাবেন। কোন রকম সিস্টেমজনিত ত্রুটি পেলে সিস্টেম কেয়ার অ্যাপ্লিকেশনগুলোই সেগুলো ফিক্স করে দেবে। এক্ষেত্রে টিউন-আপ ইউটিলিটিস, অ্যাডভান্স সিস্টেম কেয়ার ইত্যাদি সফটওয়্যারগুলো বেশ কাজের। এগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি মূলত ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ – দু'টোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

৯. ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপের সুরক্ষার জন্য ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাসের বিকল্প নেই। এ বিষয়ে ছোট্ট একটি তথ্য দিচ্ছি। গত বছরে রেটিং-এ সবচাইতে প্রথম তিনটি অ্যান্টি-ভাইরাস ছিল যথাক্রমে বিটডিফেন্ডার, ক্যাসপারস্কি এবং নরটন অ্যান্টিভাইরাস।

১০. সরাসরি পোর্টেবল হার্ডডিস্ক থেকে মিডিয়া ফাইল প্লে না করাই ভালো। কেননা, এক্সটার্নাল ডিভাইসগুলোর ডাটা-আদান প্রদান করতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়; সেক্ষেত্রে ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে কপি করে ব্যবহার করুন। একই নিয়ম পোর্টেবল সিডি-ডিভিডি রমের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

১১. ল্যাপটপের বিল্ট-ইন সিডি অথবা ডিভিডি রমে ভালো সিডি-ডিভিডি ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। কেননা, এতে ব্যবহৃত সিডি অথবা ডিভিডি রমের লেন্স ডেস্কটপ এর সিডি - ডিভিডি রম থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। ল্যাপটপের সিডি অথবা ডিভিডি রমও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। তাই সরাসরি সিডি অথবা ডিভিডি রম থেকে মিডিয়া ফাইল প্লে না করে হার্ডডিস্কে কপি করে তারপর প্লে করুন।

এছাড়াও আপনি যদি আপনার সিডি অথবা ডিভিডি রমের ভেতর কোন ডিস্ক রেখে থাকেন তবে আপনি ব্যবহার না করলেও মাঝে মাঝে রম কাজ করে থাকে এবং চার্জ নষ্ট হয়। তাই অপ্রয়োজনে সিডি অথবা ডিভিডি রমের ভেতর কোন সিডি অথবা ডিভিডি না রাখাই শ্রেয়।

১২. প্রয়োজন না হলে ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই চালু করে রাখবেন না এবং ‘শাটডাউন’ ও ‘স্লিপের’ পরিবর্তে ‘হাইবারনেট’ অপশন ব্যবহার করুন। ‘হাইবারনেট’ হচ্ছে এমন একটি অবস্থায় চলে যাওয়া যা আপনার সে মুহুর্তের কাজগুলো একটি ফাইলে জমা রেখে আপনাকে এমন একটি স্টেটে (অবস্থায়) নিয়ে যাবে যা প্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহার না করারই সমান। পরবর্তী সময়ে সিস্টেম রিজিউম করলে আপনাকে আপনার সকল কাজের প্রোগ্রেস ঠিক সেখানেই ফিরিয়ে দেবে যেখানে আপনি হাইবারনেট করেছিলেন।

আপনি স্লিপ মোডও ব্যবহার করতে পারেন। এটি হাইবারনেট এর চাইতে দ্রুত গতিতে সিস্টেম রিজিউম করতে সক্ষম। কিন্তু এটি হাইবারনেটের চাইতে কিছুটা বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে থাকে। তাই ব্যাটারির চার্জ ধরে রাখতে ‘হাইবারনেট’ অপশনটিই অধিক কাজে দেয়।

১৩. ব্যাটারিতে যখন আপনার ল্যাপটপটি ব্যবহার করবেন তখন স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। ল্যাপটপ ব্যবহারের সময় ল্যাপটপের ছোট ভেন্টিলেটরের সামনে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা যেন না থাকে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন। অনেক দিন ব্যবহার করার পর ভেন্টিলেটরের ভেতরে ধুলো-বালির আস্তরণ পরে যায়; সেগুলো পরিষ্কার করুন।

আর আপনি যদি অ্যাডভান্স ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে ল্যাপটপটি খুলে ভেন্টিলেটর এবং পাখা দুটিই পরিষ্কার করতে পারেন। এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন, “এটি কেবল অ্যাডভান্স লেভেলের জন্য।” এ বিষয়ে একটি তথ্য দিয়ে আমি আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে চেষ্টা করছি। আপনি চাইলে সহজেই ইউটিউব থেকে আপনার ল্যাপটপটির মডেল দিয়ে সার্চ করে জেনে নিতে পারেন ঠিক কীভাবে আপনার ল্যাপটপটি খুলতে হয়। আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি, “কেবল অ্যাডভান্স লেভেলের ব্যবহারকারীদের জন্যই এটি প্রযোজ্য।”

১৪. পাওয়ার ম্যানেজমেন্টে গিয়ে আপনার কম্পিউটারটি ব্যাটারি অথবা চার্জে থাকা অবস্থায় ঠিক কত সময় পরে স্লিপ মোডে চলে যাবে বা মনিটর ডিম হবে, সে সেটিংসগুলো করে রাখুন। “স্ক্রিন সেভার” কিন্তু ব্যাটারি সেভ-এর বিপরীত কাজই করে থাকে। তাই বন্ধ করে রাখুন।

১৫. ল্যাপটপ যেহেতু বেশ গরম হয়ে যায় তাই চেষ্টা করুন কুলার ব্যবহার করতে। বাজারে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০-৩০০০ টাকার মাঝে কুলার পাবেন। তবে আমার মতে মাঝামাঝি দামের গুলো কিনলেই আপনার কাজ চলে যাবে।

১৬.
আসল অ্যাক্সেসরিস ব্যবহার করুন।
উপরে আমি বিস্তারিত লিখতে চেষ্টা করেছি, আশা করি আপনারা যদি টিপসগুলো ফলো করেন তবে কিছুটা হলেও উপকার পাবেন। মনে রাখবেন, ল্যাপটপ কেনার সময় আমরা যে এক্সেসরিজ গুলো পেয়ে থাকি সেগুলো বেশির ভাগ সময়ই অরিজিনাল থাকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমাদের দেশে অরিজিনাল অ্যাক্সেসরিজ পাওয়া কষ্টকর হয়ে পরে। তাই যত্নে রাখুন আপনার ল্যাপটপটি।

৮টি উপায় কম্পিউটারকে ঠাণ্ডা রাখার

প্রিয় কম্পিউটারটি দিয়ে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে কাজ করতে করতে কম্পিউটারটি গরম হয়ে যায়। এই তাপমাত্রাজনিত কারণে অনেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। চলুন, জেনে নেই কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কীভাবে কম্পিউটারটিকে ঠাণ্ডা রাখতে হবে। 

কুল

প্রিয় কম্পিউটারটি দিয়ে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে কাজ করতে করতে কম্পিউটারটি গরম হয়ে যায়। এই তাপমাত্রাজনিত কারণে অনেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। চলুন, জেনে নেই কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কীভাবে কম্পিউটারটিকে ঠাণ্ডা রাখতে হবে।
১. বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় এর কম্পোনেন্টগুলো ব্যবহারের কারণে উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে কম্পিউটারের কেসিং-এর ফাঁকা স্থানে থাকা বাতাস গরম হয়ে ওঠে। এই গরম বাতাস উত্তপ্ত হতে থাকা কম্পোনেন্টগুলোকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেসিং-এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট কুলার ফ্যান এর সাহায্যে ভিতরের এই গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে যাতে করে এই ফ্যানগুলো ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
কেসিং এর কিছু স্থানে আবার ছোট কুলার ফ্যান ব্যবহার না করে শুধু কেসিং-এর গায়ে প্রয়োজন মতো ছিদ্র করা থাকে, যেমন মাদারবোর্ডের পেছনের অংশ। খেয়াল রাখবেন গরম বাতাস বেড়িয়ে যাবার এই পথগুলোর সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে; এতে করে ভেতরের গরম বাতাস সম্পুর্ন বের হতে পারবে না, ফলে আপনার কম্পিউটারটির বিভিন্ন কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্ততপক্ষে চারপাশ ২ থেকে ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা রাখুন।
২. কম্পিউটারের কেসিং খুলে ব্যবহার করবেন নাঃ উপরের পয়েন্টটি থেকে আপনার মনে হতেই পারে যে আপনি যদি আপনার কেসিংটি খুলে ব্যবহার করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই কোন রকম কুলার ফ্যান ছাড়াই যথেষ্ট পরিমাণ এয়ার-ফ্লো আপনার পিসিতে থাকবে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনি ধুলো-বালির কথা ভুলে যাচ্ছেন। ধুলো-বালি আপনার প্রসেসরের উপরে থাকা ফ্যানটির গতিরোধ করবে এবং গতিরোধের কারণে প্রসেসরের ফ্যানটি স্বাভাবিকের চাইতে কম সময় টিকবে। অর্থাৎ প্রথম প্রথম আপনি হালকা সুবিধা পেলেও এটি মূলত আপনার ক্ষতিই করছে।
৩. আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ঠাণ্ডা রাখে কেসিং-এর ভিতরে থাকা কুলিং ফ্যানগুলো। আস্তে আস্তে সেই ফ্যানগুলোতে ধুলো এবং অনান্য ময়লা জমে যায় যা ফ্যানের পারফরম্যান্সকে কমিয়ে দেয় এবং কুলিং ফ্যান এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে থাকে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেইস খুলে ব্লোয়ার এর সাহায্যে ভিতরের কম্পোনেন্টগুলো এবং পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। সাধারণত, কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে, পাওয়ার সাপ্লাই এর ভেতরে এবং কেসিং-এর সাথে দুটি অথবা তিনটি কুলিং ফ্যান থেকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন পাওয়ার সাপ্লাইটি খুলে এর কুলিং ফ্যানটি পরিষ্কার করতে।
কম্পিউটার বাজারে একটি ব্লোয়ার আপনি ১৫০০ টাকার মাঝে পেয়ে যাবেন।
৪. সিপিইউ-এর ফ্যান ও থার্মালপেস্ট পরিবর্তন করুনঃ সাধারণত প্রসেসর কম্পিউটারটির মধ্যে থেকে থাকা সবচাইতে দামি এবং স্পর্শকাতর কম্পোনেন্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের সময় প্রসেসরই দ্রুত গরম হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপনার স্টক প্রসেসরের কুলারটি পরিবর্তন করে থাকেন তবে খেয়াল করুন ফ্যানটি ফুল স্পিডে চলছে কিনা। আর যদি এখনো পরিবর্তন না করে থাকেন তবে আপগ্রেড করতে চেষ্টা করুন। কেননা, অনেক কোম্পানিই আছে যারা প্রসেসরের জন্য কিছুটা বড় মাপের কুলার ফ্যান তৈরি করে থাকে। যা প্রসেসরকে স্টক কুলার থেকেও ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে প্রসেসরের ফ্যান আপগ্রেড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবে পিসিতে প্রি-ইন্সটলড থেকে থাকা যন্ত্রাংশগুলোর চাইতে নতুন কেনা যন্ত্রগুলো বেশি ভালো এবং কার্যকর হয়ে থাকে।
৫. কেসিং–এর ফ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করুনঃ কেসিং-এর ভেতরে সাধারণত একটি ফ্যান সংযুক্ত থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি কেসিং এর ভেতরেই দু-তিনটি কুলার ফ্যান লাগানোর জায়গা থাকে। সেগুলো ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, অতিরিক্ত কুলার ফ্যানের সাহায্যে আপনি আপনার সিস্টেমকে আরও ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। বাজারে নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড – দু'রকমেরই কেসিং ফ্যান পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ড গুলো ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের গুলো ১৫০০-৪০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৬. ওভারক্লক করবেন নাঃ যদি আপনি ‘ওভারক্লকিং’ শব্দটির সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে সম্ভবত আপনি এখনো আপনার সিস্টেম ওভারক্লক করেননি। কিন্তু যারা ওভারক্লকিং এর সাথে পরিচিত তারা বুঝে শুনে ওভারক্লক করুন। ওভারক্লকিং প্রসেস আপনার কম্পোনেন্টকে এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভারক্লকিং এর কারণে ওভারক্লকড কম্পোনেন্টটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ধরুন, আপনি আপনার প্রসেসরটি ওভারক্লক করলেন কিন্ত অন্যান্য সতর্কতা গ্রহণ করলেন না। এতে করে খুব সহজেই আপনার প্রসেসরটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনার একেবারেই যদি প্রয়োজন না হয় তবে আপনার সিস্টেমটিকে এর স্বাভাবিক ক্ষমতায় ব্যবহার করুন। আর যদি ওভারক্লক করেই থাকেন তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কুলিং সিস্টেম এবং ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করুন।
৭. পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুনঃ আপনার কেসিং-এর ভেতরে যদি আপনি কোন প্রকার কুলিং ফ্যান ব্যবহার করে না থেকেন তবে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই-ই একমাত্র পন্থা যা ভেতরের গরম বাতাসকে বাইরে ট্রান্সফার করতে পারে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুন। যদি এর ফ্যান কোনোভাবে কাজ না করে তবে যেকোন সময় আপনার সিস্টেম অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কুলার কাজ না-ই করে তবে আপনার সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে; কেননা এর ফ্যান রিপেয়ারযোগ্য নয়।
ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন। বাজারে নন-ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০-৯০০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৮. প্রতিটি যন্ত্রাংশের জন্য আলাদা কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেনঃ যদিও প্রসেসরই কেসিং-এর তাপমাত্রার জন্য দায়ী কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমানভাবে কাজ করে। যেমন, যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে দেখতে পাবেন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথেই দু’টি কিংবা একটি ছোট কুলিং ফ্যান ডিফল্ট ভাবে যুক্ত করা আছে। কিন্তু যদি সেই কুলারগুলে কাজ করা সত্ত্বেও আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য এক্সট্রা কুলিং ফ্যান লাগিয়ে নিতে পারেন।
এরকম কিছু ছোট ছোট নিয়মের মাঝে থেকেই আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে খুব সহজেই ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মূল্যবান কম্পিউটারটি তাপমাত্রাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।
 
১. বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় এর কম্পোনেন্টগুলো ব্যবহারের কারণে উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে কম্পিউটারের কেসিং-এর ফাঁকা স্থানে থাকা বাতাস গরম হয়ে ওঠে। এই গরম বাতাস উত্তপ্ত হতে থাকা কম্পোনেন্টগুলোকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেসিং-এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট কুলার ফ্যান এর সাহায্যে ভিতরের এই গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে যাতে করে এই ফ্যানগুলো ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
কেসিং এর কিছু স্থানে আবার ছোট কুলার ফ্যান ব্যবহার না করে শুধু কেসিং-এর গায়ে প্রয়োজন মতো ছিদ্র করা থাকে, যেমন মাদারবোর্ডের পেছনের অংশ। খেয়াল রাখবেন গরম বাতাস বেড়িয়ে যাবার এই পথগুলোর সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে; এতে করে ভেতরের গরম বাতাস সম্পুর্ন বের হতে পারবে না, ফলে আপনার কম্পিউটারটির বিভিন্ন কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্ততপক্ষে চারপাশ ২ থেকে ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা রাখুন।

২. কম্পিউটারের কেসিং খুলে ব্যবহার করবেন নাঃ উপরের পয়েন্টটি থেকে আপনার মনে হতেই পারে যে আপনি যদি আপনার কেসিংটি খুলে ব্যবহার করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই কোন রকম কুলার ফ্যান ছাড়াই যথেষ্ট পরিমাণ এয়ার-ফ্লো আপনার পিসিতে থাকবে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনি ধুলো-বালির কথা ভুলে যাচ্ছেন। ধুলো-বালি আপনার প্রসেসরের উপরে থাকা ফ্যানটির গতিরোধ করবে এবং গতিরোধের কারণে প্রসেসরের ফ্যানটি স্বাভাবিকের চাইতে কম সময় টিকবে। অর্থাৎ প্রথম প্রথম আপনি হালকা সুবিধা পেলেও এটি মূলত আপনার ক্ষতিই করছে।

৩. আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ঠাণ্ডা রাখে কেসিং-এর ভিতরে থাকা কুলিং ফ্যানগুলো। আস্তে আস্তে সেই ফ্যানগুলোতে ধুলো এবং অনান্য ময়লা জমে যায় যা ফ্যানের পারফরম্যান্সকে কমিয়ে দেয় এবং কুলিং ফ্যান এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে থাকে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেইস খুলে ব্লোয়ার এর সাহায্যে ভিতরের কম্পোনেন্টগুলো এবং পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। সাধারণত, কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে, পাওয়ার সাপ্লাই এর ভেতরে এবং কেসিং-এর সাথে দুটি অথবা তিনটি কুলিং ফ্যান থেকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন পাওয়ার সাপ্লাইটি খুলে এর কুলিং ফ্যানটি পরিষ্কার করতে।
কম্পিউটার বাজারে একটি ব্লোয়ার আপনি ১৫০০ টাকার মাঝে পেয়ে যাবেন।

৪. সিপিইউ-এর ফ্যান ও থার্মালপেস্ট পরিবর্তন করুনঃ সাধারণত প্রসেসর কম্পিউটারটির মধ্যে থেকে থাকা সবচাইতে দামি এবং স্পর্শকাতর কম্পোনেন্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের সময় প্রসেসরই দ্রুত গরম হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপনার স্টক প্রসেসরের কুলারটি পরিবর্তন করে থাকেন তবে খেয়াল করুন ফ্যানটি ফুল স্পিডে চলছে কিনা। আর যদি এখনো পরিবর্তন না করে থাকেন তবে আপগ্রেড করতে চেষ্টা করুন। কেননা, অনেক কোম্পানিই আছে যারা প্রসেসরের জন্য কিছুটা বড় মাপের কুলার ফ্যান তৈরি করে থাকে। যা প্রসেসরকে স্টক কুলার থেকেও ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে প্রসেসরের ফ্যান আপগ্রেড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবে পিসিতে প্রি-ইন্সটলড থেকে থাকা যন্ত্রাংশগুলোর চাইতে নতুন কেনা যন্ত্রগুলো বেশি ভালো এবং কার্যকর হয়ে থাকে।

৫. কেসিং–এর ফ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করুনঃ কেসিং-এর ভেতরে সাধারণত একটি ফ্যান সংযুক্ত থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি কেসিং এর ভেতরেই দু-তিনটি কুলার ফ্যান লাগানোর জায়গা থাকে। সেগুলো ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, অতিরিক্ত কুলার ফ্যানের সাহায্যে আপনি আপনার সিস্টেমকে আরও ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। বাজারে নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড – দু'রকমেরই কেসিং ফ্যান পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ড গুলো ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের গুলো ১৫০০-৪০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৬. ওভারক্লক করবেন নাঃ যদি আপনি ‘ওভারক্লকিং’ শব্দটির সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে সম্ভবত আপনি এখনো আপনার সিস্টেম ওভারক্লক করেননি। কিন্তু যারা ওভারক্লকিং এর সাথে পরিচিত তারা বুঝে শুনে ওভারক্লক করুন। ওভারক্লকিং প্রসেস আপনার কম্পোনেন্টকে এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভারক্লকিং এর কারণে ওভারক্লকড কম্পোনেন্টটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ধরুন, আপনি আপনার প্রসেসরটি ওভারক্লক করলেন কিন্ত অন্যান্য সতর্কতা গ্রহণ করলেন না। এতে করে খুব সহজেই আপনার প্রসেসরটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনার একেবারেই যদি প্রয়োজন না হয় তবে আপনার সিস্টেমটিকে এর স্বাভাবিক ক্ষমতায় ব্যবহার করুন। আর যদি ওভারক্লক করেই থাকেন তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কুলিং সিস্টেম এবং ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করুন।

৭. পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুনঃ আপনার কেসিং-এর ভেতরে যদি আপনি কোন প্রকার কুলিং ফ্যান ব্যবহার করে না থেকেন তবে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই-ই একমাত্র পন্থা যা ভেতরের গরম বাতাসকে বাইরে ট্রান্সফার করতে পারে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুন। যদি এর ফ্যান কোনোভাবে কাজ না করে তবে যেকোন সময় আপনার সিস্টেম অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কুলার কাজ না-ই করে তবে আপনার সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে; কেননা এর ফ্যান রিপেয়ারযোগ্য নয়।
ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন। বাজারে নন-ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০-৯০০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে পাবেন।

৮. প্রতিটি যন্ত্রাংশের জন্য আলাদা কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেনঃ যদিও প্রসেসরই কেসিং-এর তাপমাত্রার জন্য দায়ী কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমানভাবে কাজ করে। যেমন, যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে দেখতে পাবেন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথেই দু’টি কিংবা একটি ছোট কুলিং ফ্যান ডিফল্ট ভাবে যুক্ত করা আছে। কিন্তু যদি সেই কুলারগুলে কাজ করা সত্ত্বেও আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য এক্সট্রা কুলিং ফ্যান লাগিয়ে নিতে পারেন।
এরকম কিছু ছোট ছোট নিয়মের মাঝে থেকেই আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে খুব সহজেই ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মূল্যবান কম্পিউটারটি তাপমাত্রাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।

আপনার ব্রাউজার যে ১০টি কাজ করতে সক্ষম

আজ থেকে মাত্র ১০ বছর আগেও ব্রাউজার হিসেবে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৬ এর আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মত । গত কয়েক বছরে ইন্টারনেট ব্রাউজারগুলোর উন্নতির ফলে আজ সেই স্থান দখল করে নিয়েছে ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম ও অপেরা এর মতো আধুনিক সব ব্রাউজার। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত এসব ব্রাউজারেযোগ কর হচ্ছে নিত্য-নতুন সব ফিচার। আর এই সব আধুনিক ব্রাউজারগুলোর কল্যাণে ওয়েবসাইটগুলোও নতুন নতুন সব সুবিধা উন্মুক্ত করছে যা আগে সম্ভব ছিল না।
যাই হোক, আজ প্রিয় পাঠকদেরকে এমন কিছু নতুন ওয়েব টেকনোলজির সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো যা কিনা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। নিঃসন্দেহে অনেকেই আছেন যারা এর কিছু কিছুর সাথে পরিচিত কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে জানেন না। তাদের জন্যই আজকের এই লেখা।
টেকনোলজিগুলোর বিশদ বিবরণ প্রিয় টেক পাঠকদের জন্য বিস্তারিত তুলে ধরা হলঃ-

ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ আপলোড

 

aa
অনেক ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই এখন ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ আপলোড সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফাইলটিকে কাঙ্ক্ষিত সাইটে আপলোড করার জন্য ড্র্যাগ করে এনে ছেড়ে দিলেই তা আপলোড হয়ে যাবে। যেখানে কয়েক বছর আগেও ওয়েবপেজে কোন ফাইল আপলোড দিতে হলে প্রথমে ব্রাউজ বাটন ক্লিক করে ফাইল বাছাই করে আপলোড করতে হতো, সেখানে আজ তা খুবই সহজ হয়ে উঠেছে। কোন ফাইল অথবা ফটোকে এখন ইমেইল এর জন্যই হোক অথবা শেয়ারিং এর জন্যই হোক, শুধু ড্র্যাগ করে এনে কাঙ্ক্ষিত স্থানে ছেড়ে দিলেই হল, ফাইলটি ওয়েবসাইট এ অটোমেটিক আপলোড হয়ে যাবে।
তবে বলা বাহুল্য, এক্ষেত্রে যে সাইটে ফাইল বা ফটো আপলোড করা হচ্ছে সে সাইটে ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ আপলোড সুবিধা চালু থাকতে হবে।

ব্রাউজারেই 3D গ্রাফিক্সঃ

 

aa

বর্তমান সময়ে গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স এর মতো ব্রাউজারগুলোর WebGL সাপোর্ট করার কারণে ওয়েবপেজগুলো কোন বাড়তি প্লাগ-ইন ছাড়াই 3D গ্রাফিক্স সুবিধা প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছে। মূলত গেমস ও 3D মডেলিং-এর জন্যই WebGL ব্যবহার করা হয়ে থাকে। WebGL ব্যবহার করছে এমন সব ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় হলো গুগল ম্যাপস । গুগল ক্রোম এর মাধ্যমে গুগল ম্যাপস ব্যবহার করার সময় “MapsGL” অপশনটি এনাবল করে দিলে আপনি, “OpenGL” এর মাধ্যমে গুগল ম্যাপস এ 3D অ্যানিমেশনের সুবিধাগুলো উপোভোগ করতে পারবেন কোন বাধা ছাড়াই । এছাড়াও স্ট্রিট ভিউ ব্যবহার করার সময় ম্যাপসটি জুম করার সাথে সাথে অ্যানিমেশন এর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন আপনার কাঙ্ক্ষিত ভিউ। উল্লেখ্য যে, এখানে অ্যাডোবি ফ্ল্যাশের কোনো ভূমিকাই নেই।
শুধু গুগল ম্যাপসই নয়, WebGL ব্যাবহৃত আরেকটি চমৎকার ওয়েবসাইট হচ্ছে Quake 3 WebGL demo। এখানে quake 3 ইঞ্জিনটি আপনার ব্রাউজার এর WebGL এর সাথে কাজ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে যেখানে এটি আপনাকে মাউস পয়েন্টার লকের মাধ্যমে গেম এরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে।

ওয়েবসকেটস এর মাধ্যমে যোগাযোগঃ

 



aa

HTML (Hyper Text Markup Language) তৈরি করা হয়েছিল স্ট্যাটিক ওয়েব পেজের জন্য। কখনোই ওয়েবপেজ এবং সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগের জন্য নয়। বেশিরভাগ ওয়েবসাইটই সার্ভারের সাথে যোগাযোগের জন্য “হকি_পলিং-বেজ” (hacky polling-base) মেথড ব্যবহার করে, যেখানে ওয়েবসকেটস ওয়েবপেজগুলোর টিসিপি (TCP) কানেকশন এর উপর একটা পুরোদস্তুর যোগাযোগ চ্যানেল প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে যখন ওয়েবসাইট এবং সার্ভারের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান ঘটে তখন নাটকীয়ভাবে সময় এবং নেটওয়ার্ক ট্রাফিক কমে যায়।
মজিলা ফায়ারফক্স এর “ব্রাউজার কুয়েস্ট গেম” (যা ব্রাউজারেই রান হয়) ওয়েবসকেটস এর মাধ্যমে সার্ভার এবং ওয়েবপেজ এর মধ্যে পুনঃপুন তথ্য আদান-প্রদান করার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করে । শুধু তাই নয়,, ব্রাউজার এর মধ্যে IRC ক্লায়েন্ট তৈরি করার জন্যেও ওয়েবসকেটস ব্যবহৃত হচ্ছে ।

ফ্ল্যাশ ছাড়াই দেখুন ভিডিও এবং মিউজিকঃ

 

aa


HTML5-এর জনপ্রিয়তা ক্রমশই বৃদ্ধির ফলে অনেকেই এখন জানেন যে, H.264(MP4), WebM and Ogg Theora ফরম্যাটের ভিডিওগুলো ফ্ল্যাশ ছাড়াই চালানো সম্ভব। ইউটিউবসহ অনেক ভিডিও ওয়েবসাইট এইচটিএমএল৫ এর মাধ্যমে ভিডিও প্লেব্যাক সুবিধা প্রদান করছে। দুর্ভাগ্যবশত কিছু কিছু ওয়েবসাইটের জন্য এখনো ডিআরএম (DRM) এর প্রয়োজন হয়, যার কারণে ভিডিওর সাথে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ইউটিউব এখনো ফ্ল্যাশ ব্যবহার করছে। এছাড়াও নেটফ্লিক্সও একই কারণে সিলভারলাইট ব্যবহার করছে। এইচটিএমএল৫-এর ভিডিও ট্যাগ অনেকটা দেখতে ফ্ল্যাশ-বেইজড ভিডিও প্লেয়ারের মতো, সে কারণেই হয়তো বোঝা একটু কষ্ট সাধ্য যে, কোন ওয়েবসাইট এটা ব্যবহার করছে ।

অফলাইনেই চালান ওয়েবঅ্যাপসঃ

 

aa
এখনকার ব্রাউজার এর মাধ্যমে আপনি পাচ্ছেন অফলাইন এ ওয়েব অ্যাপস চালানোর সুবিধা। যেখানে অ্যাপগুলো আপনার লোকাল স্টোরেজ ব্যবহার করে ডাটা জমা রাখবে পরবর্তীতে ব্যবহার করার জন্য। গুগল ক্রোমের অনেক অ্যাপসই (Gmail, Docs and Calendar)-এখন অফলাইনে ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে ফায়ারফক্স-এর অফলাইন অ্যাপ হিসাবে কিন্ডল ফায়ার ব্যবহার করা যাচ্ছে। কিন্ডল ক্লাউড রিডার-এর মাধ্যমে আপনি ই-বুক ডাউনলোড করে এবং পরবর্তীতে ব্রাউজার এর মাধ্যমে অফলাইনেই পড়তে পারবেন, এমনকি যদি আপনার ইন্টারনেট কানেকশন তখন নাও থাকে।

aa

ভিডিও কনফারেন্সের জন্য ওয়েবক্যাম অ্যাকসেসঃ

বর্তমানে ওয়েবপেজগুলোও এখন আপনার ওয়েবক্যাম ব্যবহার করতে সক্ষম কিন্তু সেটা অবশ্যই আপনার অনুমতি সাপেক্ষে। সাধারণত আপনার প্রোফাইল পিকচার এর জন্য এখন ফটো তুলতে এবং ভিডিও রেকর্ড করার জন্য ওয়েবপেজগুলো এই ফিচারটি ব্যবহার করে থাকে। নতুন WebRTC API-এর মাধ্যমে প্লাগ-ইন ছাড়াও এটি অন্যান্য ব্রাউজারে মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। আর খুব বেশিদিন নেই যখন গুগল হ্যাংআউটস-এর জন্য কোনো প্লাগ-ইন-ই দরকার পড়বে না এবং স্কাইপও আপনার ব্রাউজারেই চালানো যাবে ।

নোটিফিকেশন পপ-আপঃ

aa
ব্রাউজার এর মাধ্যমে এখন ওয়েবপেজ এর ডেক্সটপ নোটিফিকেশনও পাওয়া সম্ভব । উদাহরণস্বরূপ, গুগল কালেন্ডারে কোন রিমাইন্ডার ক্রিয়েট করলে পপ-আপ উইন্ডো এর মাধ্যমে এখন আপকামিং ইভেন্টের নোটিফিকেশন দেখা সম্ভব। চ্যাট এবং ই-মেইল ওয়েবসাইটগুলোও পপ-আপ উইন্ডোর মাধ্যমে আপনাকে মনে করিয়ে দিবে কখন কোথায় কী হচ্ছে ।

জেনে নিন আপনার নিজের অবস্থানঃ

 

aa

কিছু কিছু ওয়েবপেজ ব্রাউজারের মাধ্যমে আপনার লোকেশন জানার জন্য এখন আপনার নুমতি নিয়ে আপনার অবস্থান জানাতেও সক্ষম। আপনি যদি ট্যাবলেট অথবা GPS চিপ সম্বলিত কোনো ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ব্রাউজার আপনার লোকেশন জানার জন্য GPS হার্ডওয়ারটি অটোমেটিক অ্যাক্সেস করবে। অন্যদিকে আপনি যদি এমন কোন ডিভাইস ব্যবহার করেন যেটায় GPS চিপ নেই, তাহলে আপনার ব্রাউজার আপনার IP অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে আপনার সবচেয়ে কাছাকাছি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক অথবা আপনার ISP এর লোকেশন দেখাবে।

ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশন এ পরিণত করুন আপনার ওয়েব অ্যাপঃ

আধুনিক ব্রাউজারগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েব অ্যাপসগুলোকে আপনার ডিফল্ট অ্যাপস-এ পরিণত করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি জিমেইলকে আপনার ডিফল্ট ই-মেইল অ্যাপে পরিণত করতে পারেন যাতে করে যখনই আপনি mailto: লিংক এ ক্লিক করবেন তখনই এটা আপনার ব্রাউজার ওপেন করবে। হতে পারে সেটা ব্রাউজার থেকে অথবা আপনার কম্পিউটারের যেকোনো সফটওয়্যার বা উইন্ডো থেকে থেকে ।
গুগল ক্রোমে এটা করতে চাইলে প্রথমেই এমন একটা ওয়েবসাইট সিলেক্ট করুন যেটাকে আপনি আপনার ডিফল্ট অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করতে চান, যেমন ই-মেইল এর জন্য জিমেইল, ক্যালেন্ডার টাস্কের জন্য গুগল ক্যালেন্ডার ইত্যাদি। সেখানে যাওয়ার পর আপনার ব্রাউজারের লোকেশনবারের উপর একটা আইকন ফুটে উঠবে যেখানে ক্লিক করলে এই ওয়েব অ্যাপটিকে আপনার ডিফল্ট অ্যাপ বানানোর জন্য অপশন দেখা যাবে ।

aa

এছাড়াও আপনি গুগল ক্রোম এর হ্যান্ডলার ফিচারের মাধ্যমে নিজে থেকেই ম্যানেজ করে নিতে পারেন আপনার সব অ্যাপ্লিকেশন। এ জন্য আপনাকে প্রথমে ক্রোম এর সেটিং থেকে শো অ্যাডভান্স সেটিংস লিংকটিতে ক্লিক করতে হবে। এরপর প্রাইভেসি > কন্টেন্ট সেটিংস > হ্যান্ডলারস এবং সবশেষে ম্যানেজ হ্যান্ডলারস থেকে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো অপশন বাছাই করতে পারবেন।

aa

ফায়ারফক্স ব্যবহারকারীরাও-এর অপশন উইন্ডো থেকে বিভিন্ন লিংকের জন্য অ্যাপলিকেশন কন্ট্রোল করতে পারবেন। এর জন্য যেটা করতে হবে তা হলো, প্রথমেই আপনাকে অপশন মেনু থেকে অ্যাপ্লিকেশন-এ যেতে হবে। এপর কোন কাজের জন্য কোন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে তা সিলেক্ট করে দিতে হবে । যেমন ই-মেইল এর জন্য জিমেইল অথবা ইয়াহু মেইল, IRC এর জন্য Mibbit, ক্যালেন্ডারের জন্য Google Calender অথবা 3D Boxes এবং আরও অনেক।

aa

নেটিভ কোড রান করুন আপনার ব্রাউজারেইঃ

 

aa

সম্প্রতি গুগল ক্রোমে যুক্ত হল নেটিভ কোড রান করার সুবিধা Google’s Native Client। নেটিভ ক্লায়েন্ট এর মাধ্যমে আপনার ব্রাউজার থেকেই সরাসরি রান করতে পারবেন সি/সি++ এ লেখা কোড । কোডগুলো এক্সিকিউট হবে স্যান্ডবক্সের ভেতর এবং রান হবে প্রায় নেটিভ স্পিডেই । নেটিভ ক্লায়েন্ট, গেম ইঞ্জিন এবং লোকাল ভিডিও এনকোডিং-এর জন্য লেখা হাই-পারফরম্যান্স কোডগুলো ওয়েবপেজেই রান করাতে সক্ষম। এটিই হতে পারে ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমের জন্য আরও অ্যাডভান্স অ্যাপ্লিকেশন পাওয়ার একটি মাধ্যম। বহু প্রশংসিত ওয়েব গেম Bastion সহ ক্রোম ওয়েব স্টোরে রয়েছে নেটিভ ক্লায়েন্টস-এ লেখা অসংখ্য অ্যাপ।
চমকপ্রদ আরও সব তথ্য জানতে চোখ রাখুন প্রিয় টেক-এর পাতায় । লেখা সম্পর্কিত যেকোনও ধরনের মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না।

দেশী ল্যাপটপ দোয়েল

গত বছরের জুন মাসে আসার ঘোষণা দিয়ে দেড় বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাজারে আসছে দোয়েল ল্যাপটপ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখন দোয়েল বাজারে আসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আগামী ৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর দোয়েল উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতাই বাকি রয়েছে এখন।

দেশী ল্যাপটপ দোয়েল" 
 
ল্যাপটপ তৈরির দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) নিশ্চিত করে জানিয়েছে,"সরকারি কম মূল্যের ল্যাপটপ 'দোয়েল' বাজারে আসার জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। বাকি কেবল উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা। আগামী মাসের মধ্যভাগের আগেই (সম্ভাব্য তারিখ ৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করবেন।"

তৈরী হচ্ছে দোয়েল
এই ল্যাপটপ তৈরির জন্য টেশিস প্রাথমিকভাবে ১৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়, টেশিসের গাজীপুর কারখানায় গত ১০ জুলাই দোয়েলের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। ল্যাপটপটির উন্নয়ন এবং গবেষণার কাজে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা বুয়েট এবং মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান 'থিম ফিল্ম ট্রান্সমিশন' বা টিএফটিসহ কয়েকজন বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহায়তা থাকলেও এর নকশা, গবেষণা এবং উন্নয়নের কাজ করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান 'গণনা টেকনোলজিস'। দোয়েল ল্যাপটপের কনটেন্ট প্রস্তুতকরণ, অপারেটিং সিস্টেম অনুবাদকরণ থেকে শুরু করে এর সব পরিকল্পনার কাজও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গণনা টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল চৌধুরী শারুন জানান, “সরকারিভাবে এ ল্যাপটপ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে, যাতে একেবারে গ্রামপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দেওয়া যায়। একজন গ্রামের মানুষ যাতে সহজেই এ ল্যাপটপের সবকিছু বুঝতে পারেন সে জন্য আমরা কাজ করছি। এর অপারেটিং সিস্টেমসহ অন্যান্য সুবিধা বা অ্যাপ্লিকেশনগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে কারো কাছে এটি কঠিন না মনে হয়।“ (সূত্র:কালের কন্ঠ)
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সম্প্রতি গণমাধ্যমকে জানান, কনফিগারেশনের ওপর ভিত্তি করে ল্যাপটপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। দোয়েল প্রাথমিক মডেলের সম্ভাব্য দাম ১০ হাজার, "দোয়েল বেসিক" ১২ হাজার, "দোয়েল স্ট্যান্ডার্ড'" ২১ হাজার এবং "দোয়েল অ্যাডভান্স" মডেলটি ২৫ হাজার টাকায় বাজারে পাওয়া যাবে। তবে টেশিসের পক্ষ থেকে জানা গেছে, এই দাম এখনো নিশ্চিত নয়। তবে উল্লেখিত দামের খুব বেশি হেরফের হওয়ার আশঙ্কা কম। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সময়ই চূড়ান্ত দাম ঘোষণা করবেন।
চাহিদার ওপর ভিত্তি করে চারটি ভিন্ন মডেলে 'দোয়েল' ল্যাপটপ বাজারে আসছে। কনফিগারেশনের ওপর ভিত্তি করে মডেলগুলোর দামেও বেশ পার্থক্য রয়েছে। মডেলগুলো হলো -
  • দোয়েল প্রাথমিক ২১০২, মূল্য=১০ হাজার
  • দোয়েল বেসিক ০৭০৩, মূল্য=১২ হাজার
  • দোয়েল স্ট্যান্ডার্ড ২৬৩,মূল্য=২১ হাজার
  • দোয়েল অ্যাডভান্স ১৬১২, মূল্য=২৫ হাজার

ডেল থেকে লোগো নিয়েছে দোয়েল
 
দোয়েল প্রাথমিক ২১০২: এই মডেলটিতে রয়েছে ১০ ইঞ্চি এলসিডি প্যানেল, ৫১২ মেগাবাইট RAM, ০.৩ মেগাপিক্সেল ইন্টিগ্রেটেড ওয়েবক্যাম, ওয়াইফাই সংযোগ সুবিধা, ইথারনেট লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিং সুবিধা, ২ ইউএসবি ২.০ পোর্ট এবং ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত ধারণক্ষমতার এসডি স্লট। এর অপারেটিং সিস্টেস হিসেবে রয়েছে গুগলের "অ্যানড্রয়েড"।

দোয়েল বেসিক ০৭০৩: এই মডেলে রয়েছে ১০.১ ইঞ্চি এলইডি ব্যাকলিট, ইনটেল অ্যাটম প্রসেসর, ইনটেল এনএম ১০ এক্সপ্রেস চিপসেট, ইন্টেল জিএমএ ৩১৫০ ইন্ট্রিগেটেড গ্রাফিক্স, ১ গিগাবাইটের ডিডিআর থ্রি র্যারম, ২৫০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ১.৩ মেগাপিক্সেলের ওয়েবক্যাম, ওয়াইফাই, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিং সমর্থন এবং তিনটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট। এর অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে ওপেনসোর্স "লিমাক্স"।

দোয়েল স্ট্যান্ডার্ড ২৬০৩: এই মডেলে ১২.১ ইঞ্চি এলইডি ব্যাকলিট, ইনটেল অ্যাটম প্রসেসর, ইনটেল এনএম ১০ এক্সপ্রেস চিপসেট, ইন্টেল জিএমএ ৩১৫০ ইন্ট্রিগ্রেটেড গ্রাফিক্স, ২ গিগাবাইটের ডিডিআর থ্রি RAM, ২৫০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ১.৩ মেগাপিক্সেলের ওয়েবক্যাম, ওয়াইফাই, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিং সমর্থন এবং তিনটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট। এরও অপারেটিং সিস্টেম "লিনাক্স"।

দোয়েল অ্যাডভান্স ১৬১২ এই মডেলটি উচ্চ-কনফিগারেশনে তৈরি করা হয়েছে। এতে রয়েছে ১৪ ইঞ্চি এলইডি ব্যাকলিট, ইন্টেল পেন্টিয়াম প্রসেসর, ইন্টেল এইচএম ৫৫ চিপসেট, ২ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি RAM, ৩২০ গিগাবাইট সাটা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, স্যামসাং ডিভিডি রাইটার, ১.৩ মেগাপিক্সেলের ইন্ট্রিগ্রেটেড ওয়েবক্যাম, লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিং সুবিধা এবং তিনটি ইউএসবি ২.০ পোর্ট। এর অপারেটিং সিস্টেমও লিনাক্স।
প্রতিটি দোয়েল ল্যাপটপের সঙ্গে বিশেষ অনূদিত অপারেটিং সিস্টেমসহ ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয় সাধারণ সব সফটওয়্যারই স্থায়ীভাবে (বিল্ট-ইন) দেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে লেখালেখির সফটওয়্যার ওপেন অফিস, ছবি সম্পাদনার সফটওয়্যার গিম্পসহ উবুন্টুর প্রায় সব সফটওয়্যার। সাধারণ ব্যবহারকারীর কথা মাথায় রেখে এসব সফটওয়্যার বিশেষভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। বাংলা লেখালেখির জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় কিবোর্ড লে-আউট। গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এতে সরকারি 'কৃষি তথ্য সার্ভিস' এবং জাতীয় 'ই-তথ্যকোষ' অ্যাপ্লিকেশন আকারে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দোয়েলের নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ এবং প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সব পাঠ্যবইও যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আর ল্যাপটপের সবগুলো ফিচার সহজে বোঝার জন্য এতে ৫২ থেকে ৫৪ পৃষ্ঠার একটি বিশেষ ম্যানুয়াল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

Thursday, January 16, 2014

২০১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর বই সমূহ ফ্রি ডাউনলোডের লিঙ্ক

text-books-dwonload

বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি ২০১৪ শিক্ষাবর্ষের নতুন বই বিতরণ করা শেষ করেছে। ফ্রিতে পাওয়া এসব বই অনেক সময় ছিঁড়ে বা হারিয়ে গেলে পরে বইয়ের দোকান থেকে নগদ টাকায় কিনতে হয়। বাড়ির বাইরে কোথাও বেড়াতে গেলে সবসময় বই নিয়ে যাওয়া যায় না। এই সমস্যা দূর করার জন্য সরকার এসব বইয়ের ডিজিটাল ভার্সন সহজলভ্য করে দিয়েছে। যাদের কম্পিউটার আছে তারা ইন্টারনেট থেকে এক কপি ডাউনলোড করে নিলে এই সমস্যা থেকে বাঁচতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে সরকার এসব বই জাতীয় শিক্ষা অধিদপ্তর জাতীয় পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর ওয়েব সাইটে প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণীর সব বই সরাসরি ডাউনলোড করে নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। যে যার মতো দরকারী বইগুলো এখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আমি  বইয়ের লিঙ্কগুলো দিয়ে দিচ্ছি-

প্রথম শ্রেণী
দ্বিতীয় শ্রেণী
তৃতীয় শ্রেণী
চতুর্থ শ্রেণী
পঞ্চম শ্রেণী
ষষ্ঠ শ্রেণী
সপ্তম শ্রেণী
অষ্টম শ্রেণী

দুইটি স্মার্টফোন বাজারে আনার ঘোষনা দিল সনি


স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সনি করপোরেশন এবার একই সাথে বাজারে আনলো আন্ড্রয়েড নির্ভর দুটি স্মার্টফোন। এদের মধ্যে এশিয়ান এবং আফ্রিকান ব্যাবহারকারীদের জন্য ৬ ইঞ্চি ফ্যাবলেট এর আকার এবং ডিজাইনের এক্সপেরিয়া টি ২ আল্ট্রা। যা বড় স্ক্রীনের স্যামসাং গ্যালাক্সি মেগা এর প্রতিযোগী হিসেবে তৈরী করা হয়েছে।


sony1



৬ইঞ্চি ডিসপ্লে এর এক্সপেরিয়া টি২ আল্ট্রা এর ১২৮০*৭২০ পিক্সেল রেজ্যুলেশনের স্ক্রীন-এ ব্যবহার করা হয়েছে তাদের নিজস্ব এবং বিশ্বখ্যাত ট্রাইলুমিনাস এবং মোবাইল ব্রাভিয়া ইঞ্জিন ২ সহ বিভিন্ন প্রযুক্তি। যা টেকজগতে আলোড়ন ফেলবে বলে টেক-বিশ্লেষকদের ধারনা। ইমেজ কোয়ালিটি এবং ডিসপ্লে কোয়ালিটির দিক দিয়ে সনি করপোরেশন সবসময় গ্রাহকের চাহিদা পুরন করে আর তার ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায় তাদের এক্সপেরিয়া টি২ আল্ট্রা এর ক্যামেরার কোয়ালিটি নির্বাচনে। তারা এতে প্রধান ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করেছে ১৩ মেগাপিক্সের এক্সমোর আরএস ক্যামেরা। অন্যদিকে ভিডিও কলের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ১.১ মেগাপিক্সের এক্সমোর আর ক্যামেরা।
কনফিগারেশনের দিক দিয়ে তারা এতে ব্যবহার করেছে ১.৪ গিগাহার্টজ ক্ষমতার কোয়াড কোর স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর এবং ১ গিগাবাইট এর উন্নত র‍্যাম। ইন্টারনাল মেমোরী স্পেস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৮ গিগাবাইট যা পরবর্তীতে এক্সটারনাল মেমোরী এর সাহায্যে বৃদ্ধি করা যায়। আর ব্যাটারীর দিক দিয়ে তারা ব্যবহারকরা হয়েছে তাদের নিজস্ব স্ট্যামিনা মোড প্রযুক্তির ৩০০০ মিলিএম্পিয়ার এর ব্যাটারী। যা একবার চার্জে ব্যবহারকারী নিশ্চিন্তে একটানা ৫ দিন ব্যবহার করতে পারেন।
সিঙ্গেল সীম এবং ডাবল সীম এই দুই ভার্সনের এক্সপেরিয়া টি২ আল্ট্রা পাওয়া যাবে বলে ঘোষনা করা হয়েছে। কালারের দিক দিয়ে আপাতত সাদা, কালো এবং বেগুনী এই তিন কালারের মধ্যে পাওয়া যাবে।
এন্ড্রয়েড নির্ভর আর সীমিত বাজেটের মধ্যে অন্য একটি স্মার্টফোন হচ্ছে এক্সপেরিয়া ই ১ যা তাদের ঘোষনা অনুযায়ী তার অডিও প্লে-ব্যাক এর জন্য বিখ্যাত হতে পারে বলেই মত প্রকাশ করেছেন। সনি করপোরেশন দাবি করেছে যে এক্সপেরিয়া ই ১ এর পেছনের লাউড স্পীকার এর ক্ষমতা ১০০ ডেসিবল পর্যন্ত পৌছাতে পারে। যা সাউন্ড কোয়ালিটির দিক দিয়ে ব্যবহারকারীর আশেপাশের বা ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত স্মার্টফোন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল বলে বিবেচিত হবে। একই সাথে অডিও কন্ট্রোল এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বাটন।

ছবিঃ জিএসএম এরিনা


অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৮০০*৪৮০ পিক্সেলের ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ১.২ গিগাহার্টজের ডুয়েল কোর প্রসেসর এবং ৫১২ মেগাবাইটের ব্যাম। রয়েছে ৪ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমোরী এবং এক্সটারনাল মেমোরী স্লট। সিঙ্গেল সীম এবং ডাবল সীম এই দুই ভার্সনের এক্সপেরিয়া ই ১ পাওয়া যাবে বলে ঘোষনা করা হয়েছে। কালারের দিক দিয়ে আপাতত সাদা, কালো এবং বেগুনী এই তিন কালারের মধ্যে পাওয়া যাবে।

Walton Primo GF 1.3 GHz Quad-Core Phone

ওয়াল্টন তাদের নতুন স্মার্ট ফোন প্রিমো জি এফ নিয়ে আসার ঘোষনা দেয় এবং আজকে এর দাম নির্ধারণ করেছে ৮৯৯০/- টাকা । দেখে নিন কি কি আছে এই সেটে







 





Basic Information:

Operating System: Android 4.2.2 (jelly bean)
Processor: 1.3 GHz Quad Core Processor
GPU: Mali 400
RAM: 512 MB
Storage space(ROM): 4 GB
Expandable memory up to 32GB

Call mode: Dual Card, Dual Standby
Network parameters:
Network type: UMTS+GSM
Network band: GSM 850/900/1800/1900MHz, UMTS 900/2100 MHz
Network speed: GPRS / EDGE/ 3G / HSPA+

Screen parameters:
Screen size: 4.3 inch WVGA, Supports 16.7 million colors
Resolution: 480x800
Touch: Capacitive touch screen

Camera parameters:
Rear camera:5 Mega pixels
Front camera: VGA
Video recording: 1080p Full HD Video recording
Flash: Yes

Multimedia:
1080p Full HD Video playback
Radio: Support with recorder

Connectivity:
WLAN b/g/n (Wi-Fi), Bluetooth v4, Micro USB , WLAN Hotspot

Sensors:
Motion sensors: Accelerometer (3D), Orientation
Light sensors: Light (Brightness), Proximity,
Compass

GPS module: GPS with A-GPS network-assisted GPS navigation function
Battery Capacity: 1700mAh
Type: Lithium-ion battery

Weight: 155.2g (with battery)
Dimension: 129.3x 68 x11.1 mm


Price: 8,890 BDT

সেরা ১০ টেক লোগো-২০১৩



যে কোন কোম্পানির লোগো তার কোম্পানিটি সম্পর্কে আইডিয়া দেয়। ইন্টারেস্টিং পার্ট হল আপনি লোগো দিয়ে আপনার কোম্পানির পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে পারেন। টেক জগতে এই রকম অনেক কোম্পানি আছে যারা তাদের কোম্পানি লোগো দ্বারা লক্ষাধিক ব্যবহারকারীর কাছে তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছে।
অ্যাপলের কথাই ধরুন। তাদের প্রথম দিকের বহুবর্ণ লোগোটি তাদের কোম্পানি সম্পর্কে সাধারন মানুষের ধারনা ছিল অন্যরকম। "এটি ছিল অদ্ভুত এবং সহজগম্য" -- কোম্পানি সম্পর্কে এমনটায় ধারনা দেয় সেই সময়। আর আজকের ফ্ল্যাট, একবর্ণ অ্যাপল লোগো তার কোম্পানির বর্তমান পরিস্থিতিকেই প্রতিফলিত করে -- "এটি সিম্পল কিন্তু বাস্তবধর্মী" ।
এই বছর টেক ইন্ডাস্ট্রিতে ছোট থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় কোম্পানির মধ্যে বেশ কিছু কোম্পানি তাদের লোগোর পরিবর্তন আনে। আসুন, তাদের মধ্যে সেরা ১১ টি টেক লোগো নিয়ে আলোচনা করা যাক।

Google


গুগল বেশ কয়েকবছর ধরে তাদের ডিজাইন করা অ্যাপস ও সার্ভিসের অনেক পরিবর্তন ও অনেক উন্নতি সাধন করেছে। কোম্পানির নতুন লোগোটি অনেক সিম্পল ও ফ্ল্যাট যা লোগোর থেকে অনেক বেশি প্রফেশনাল।

 

Yahoo

 


ইয়াহু Marissa Mayer(সিইও) নেতৃত্বে একটি অতি পরিবর্তনশীল সময়ের মধ্য দিয়ে আগাচ্ছে। যে পরিবর্তনের অংশ হিসাবে, কোম্পানী একটি নতুন লোগো উন্মোচন করেছে। লোগোটিতে শেষের O টিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

 

Facebook

 


ফেসবুক তার লোগোতে মেজর কোন পরিবর্তন সাধন করেনি। তারা লোগোর উপরের চকচকে ভাব অপসারণ করেছে, ফন্টের সামান্য পরিবর্তন এনেছে। সর্বোপরি ফেবুকের বর্তমান লোগোটি দেখতে আগের থেকে অনেক বেশি পরিস্কার।

 

Firefox


বর্তমান টেক ইন্ডাস্ট্রিতে সব কিছুর সরলীকরণ প্রবণতার ফলে ফায়ারফক্স তাদের নতুন লোগোতে পূর্বের সামগ্রিক আকার অপরিবর্তিত রেখেছে। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় কালার ও সেপ গুলোর বড় পরিবর্তন এনেছে।

 

YouTube

 



ইউটিউব তাদের লোগোর বেসিক কোন কিছু পরিবর্তন করে নি বরং কিছু সংক্ষিপ্ত কসমেটিক আপডেট এনেছে। নতুন এই লোগোটিতে প্লে বাটন এ কিছুটা পরিবর্তন আনছে ইউটিউব।

 

Dropbox

 



ড্রপবক্স প্রতি বছর তাদের লোগোটিতে পরিবর্তন এনে মূলত তাদের কোম্পানির পরিবর্তন সাধন করেছে। এটির বক্স আকারের কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে কোম্পানির সামগ্রিক কৌশল এবং ভূমিকা বাড়ানোর সঙ্গে এটি আরও গাড় হয়ে উঠেছে।

 

TechCrunch


TechCrunch সম্প্রতি তাদের কোম্পানির জন্য সম্পূর্ণ নতুন একটি লোগো বানিয়েছে। তাদের পূর্বের লোগো থেকে শুধু দুটি অক্ষর নিয়ে নতুন এই লোগোটি তৈরি। তাদের এই স্বাগত পরিবর্তন তাদের কোম্পানির প্রতিফলন কেই প্রকাশ করে।

 

SpoonRocket

 


এই কোম্পানির নতুন লোগোটি অনেকটা সিম্পল হলেও অনেক বাস্তবধর্মী। এটা আগের চেয়ে কোম্পানির সেবা এবং মান প্রকাশের মানকে অনেক বেশি উন্নত করেছে। পূর্বের কোম্পানির লোগো -

BloomThat

 


BloomThat একটি ফুল অর্ডার নেয়া কোম্পানি। কোম্পানিটি তাদের কাস্টমাররের কাছ থেকে অর্ডার নেয়া ফুল ৯০ মিনিটের মধ্যে ডেলিভার করে। এর লোগো তার পণ্য ও সেবা প্রকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে - এই লোগোটি দ্রুত ফুল সাপ্লায় করার প্রতীকী হিসেবে কাজ করে।

 

Snapshot

 


Snapchat তাদের নতুন অ্যাপস লোগোটিতে সিলি ফেস টি অপসারণ করেছে। কিন্তু পূর্বের অ্যাপস এর সকল ফাংশন একি রকম আছে।

 

Buttercoin

 


অধিকাংশ লোক যখন বিটকয়েন নিয়ে ভাবে তখন তাদের মনে হ্যাকারস এবং অনলাইন ড্রাগস এই সব জিনিস উঁকি মারে। কিন্তু বাটারকয়েন সবার মাঝে বিটকয়েন এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিসনেস শুরু করেছে। আর তাদের এই লোগোটি ব্যবসার সাথে জড়িত এই সব নেতিবাচক প্রভাব দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

Best Technology for the year of 2013


২০১৩ সাল ছিল প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের বছর। এ বছরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে নজরকাড়া অনেক উদ্যোগ। কেউ কেউ উদ্ভাবনের মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে। কেউ হয়েছে বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত। মাশাবেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের জয় আর পরাজয়ের কারন। লিখেছেন মাহাবুব মাসফিক - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf
২০১৩ সাল ছিল প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের বছর। এ বছরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে নজরকাড়া অনেক উদ্যোগ। কেউ কেউ উদ্ভাবনের মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে। কেউ হয়েছে বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত। মাশাবেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের জয় আর পরাজয়ের কারন। লিখেছেন মাহাবুব মাসফিক - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf
২০১৩ সাল ছিল প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের বছর। এ বছরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে নজরকাড়া অনেক উদ্যোগ। কেউ কেউ উদ্ভাবনের মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে। কেউ হয়েছে বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত। মাশাবেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের জয় আর পরাজয়ের কারন। লিখেছেন মাহাবুব মাসফিক - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf
২০১৩ সাল ছিল প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের বছর | বছরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে নজরকাড়া অনেক উদ্যোগ | কেউ কেউ উদ্ভাবনের মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে | কেউ হয়েছে বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত | মাশাবেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের জয় আর পরাজয়ের কারন |

 


২০১৩ সালে প্রযুক্তির ৯ বিজয়ী 



টুইটার

শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে স্টকমার্কেট থেকে বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল টুইটারের জন্য দুর্গ বিজয়ের মতো। যা ছিল ২০১১ সালের ফেসবুকের আইপি চমকের চেয়েও বেশি। চলতি বছরের নভেম্বরে বাজারে আইপিও ছাড়তেই সামাজিক যোগাযোগ সাইট হিসেবে টুইটারের আইপিও ক্রয়ে বিনিয়োগকারিদের মাঝে হুঁড়োহুড়ি পড়ে যায়। অন্তত প্রথম লক্ষ্য পূরণে ১০০% সফল টুইটার। আর যা- হোক, ফেসবুকের মতো বিপুল প্রত্যাশার ফানুসকে প্রথম দিনেই চুপসে যেতে দেয়নি তারা। আগামী জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠানটি আরো সফল হয়ে উঠবে। কারন জানুয়ারীতেই উন্মোচন করতে যাচ্ছে সেকেন্ড ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ভাইন। যা আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। এসব উদ্যোগগুলোই বিজয়ী বেশে সবার সামনে আসার পথ উন্মোচন করেছে টুইটারকে।

গুগল

চলতি বছরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির চশমা 'গুগল গ্লাস' উন্মোচন ছিল গুগলের নতুন স্বপ্ন দেখার সুচনা। বিশ্ববাসীকে নতুন একধরনের চশমার সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে ২০১৩ সালেই এটি উন্মোচন করা হয় যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারনের জন্য এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি। তবে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০১৩ সালে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জিহ্বায় আলোচনার পাত্রে পরিনত হতে পেরেছে গুগল। অন্যদিকে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড ছাড়ার কারনেও মার্কেটের ৮০ শতাংশ দখলে রেখেছে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও জনপ্রিয় সামাজিক ট্রাফিক অ্যাপ্লিকেশন ওয়াজ উন্মোচনের ফলে নিলামী যুদ্ধেও বিজয়ী হয়েছে গুগল।

মাইক্রোসফট সনি

চলতি বছরটা বিশ্ববাসী কাটিয়েছে গেমিং ডিভাইস প্লেস্টেশন এবং এক্সবক্স আগমনের অপেক্ষায়। বছরের শেষে এসে নভেম্বরের ২২ তারিখে বাজারে উন্মোচিত হয় সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের পরবর্তী প্রজন্মের গেইমিং কনসোল এক্সবক্স ওয়ান। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার। গত আট বছর ধরে আলোচনার অবসান ঘটিয়ে এক্সবক্স ৩৬০ এর উত্তরসুরী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি। অন্যদিকে সপ্তাহখানেক আগে স্টোরে অবতরন করেছে ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা সনির গেইমিং কনসোল প্লেস্টেশন ৪। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯৯ মার্কিন ডলার। উন্মোচনের পর থেকেই বাজারে গেম কনসোলের যুদ্ধে হাজির হয়েছে নতুন দুই গেম কনসোল সনির প্লেস্টেশন এবং মাইক্রোসফটের এক্সবক্স ওয়ান। উভয় প্রতিষ্ঠানই একে সময়ের সবচেয়ে আধুনিক গেম কনসোল হিসেবে দাবি করেছে। এছাড়া বাজারে বিক্রি শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এক মিলিয়ন কনসোল বিক্রি হয়েছে বলে উভয় কোম্পানী দাবি করেছে। দুটি গেমিং কনসোল উন্মোচন করে বিজয়ীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মাইক্রোসফট এবং সনি।

অ্যাপল

চলতি বছরে মার্কিন কোম্পানী অ্যাপল সাড়া জাগানো বেশ কিছু পন্য উন্মোচন করেছে। কোটি কোটি মোবাইল ডিভাইস বিক্রি করে বাজারে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সাথে নতুন ডিভাইস তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরের শেষের দিকে এসে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে অ্যাপল তার জনপ্রিয় স্মার্টফোন আইফোনের দুটি মডেল উন্মোচন করে, যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। এগুলোকে কমদামী আইফোন হিসাবেও ঘোষনা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তুলনামূলক ভাবে দাম কম হওয়ায় দুটি সেটের বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে অ্যাপল। বাজারে ছাড়ার সাথে সাথেই ফুরিয়ে যায় স্টকে থাকা আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। অ্যাপল তার ১৬ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার আইফোন ৫এস মডেলের দাম নির্ধারন করেছে ৬৪৯ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার আইফোন ৫সির দাম নির্ধারন করেছে ৫৪৯ মার্কিন ডলার।

হুটসুইট

সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হুটসুইট চলতি বছরের আগস্ট মাসে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। স্বল্পসময়ে বিপুল অর্জন প্রতিষ্ঠানটিকে বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যনির্ধারণ করতে সক্ষম করে তুলেছে। সেবার আওতায় বিশ্বব্যাপী প্রায় মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। হুটসুইট হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক ড্যাশর্বোড আপডেট মিডিয়া যেটা অনলাইন ব্র্যান্ড পরিচালনার জন্যবিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। হুটসুইটের এর শক্তিশালী টুল আপনার সামাজিক নেটওয়ার্ক হালনাগাদকরন বা যোগাযোগ সহ ওয়েবসাইট হালনাগাদকরনে সাহায্য করবে। হুটসুইট এর জনপ্রিয়তার মূল কারন ব্যবহারকারী একই জায়গা থেকে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, ফরস্বকয়ার, মাইস্পেস, পিং.এফএম এর মত শীর্ষ সামাজিক মিডিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

নকিয়া

মোবাইল ডিভিশন এবং লাইসেন্স হস্তান্তরের মাধ্যমে এবছরেই ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার নিজেদের পোর্টফোলিওতে যোগ করতে পেরেছে ফিনল্যান্ডের মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া। এর সকল পক্রিয়া আগামী বছর ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নকিয়ার বিরাট অর্জনের পেছনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসে নকিয়ার পেটেন্ট ম্যাপ সার্ভিসের লাইসেন্স কিনে নিতে রাজি হয় মাইক্রোসফট। ফলে নকিয়ার ৩২ হাজার কর্মী মাইক্রোসফটের অধীনে চলে যাবেন। আগামীতে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করবে নকিয়া। নকিয়ার ডিভাইস সার্ভিস ইউনিটের জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিবে মাইক্রোসফট পাশাপাশি নকিয়ার পেটেন্ট লাইসেন্সের জন্য দিবে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার।

টাম্বলার

২০১৩ সালে প্রযুক্তি বিশ্বে বিজয়ীর তালিকায় নাম লিখিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টাম্বলার। বছরে তাদের অর্জন ১১০ কোটি মার্কিন ডলার। বিপুল পরিমান অর্থে প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয় ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহু। তবে কিনে নেয়া হলেও টাম্বলার সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড কার্প টাম্বলার চালু করেন। বর্তমানে সাইটটিতে ১০ কোটিরও বেশি ব্লগ রয়েছে এবং ৫০০ কোটির বেশি পোস্ট রয়েছে।

স্নাপচ্যাট

বর্তমানে ফটো মেসেঞ্জিং অ্যাপগুলোর মধ্যে স্নাপচ্যাট হল বহুল আলোচিত একটি অ্যাপ। ক্ষণস্থায়ী ফটো শেয়ার ভিত্তিক এই অ্যাপটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি শেয়ারের মধ্য দিয়ে তা ফেসবুকের সমকক্ষে এসে পড়েছে এটি। কোম্পানীটি ইতিমধ্যে বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কেনার অফার পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের পক্ষ থেকে। তবে গুগলের পক্ষ থেকে মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অফার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অফারেও প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পেগেল রাজি হননি বিক্রিতে। কোম্পানীর মূ্ল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন তিনি। বছরের শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে প্রযুক্তি বিশ্বের বড় দুটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিশাল অংকের অফার ছিল প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিজয়ের মশাল।
টুইটার
শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে স্টকমার্কেট থেকে ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল টুইটারের জন্য দুর্গ বিজয়ের মতো। যা ছিল ২০১১ সালের ফেসবুকের আইপি চমকের চেয়েও বেশি। চলতি বছরের নভেম্বরে বাজারে আইপিও ছাড়তেই সামাজিক যোগাযোগ সাইট হিসেবে টুইটারের আইপিও ক্রয়ে বিনিয়োগকারিদের মাঝে হুঁড়োহুড়ি পড়ে যায়। অন্তত প্রথম লক্ষ্য পূরণে ১০০% সফল টুইটার। আর যা-ই হোক, ফেসবুকের মতো বিপুল প্রত্যাশার ফানুসকে প্রথম দিনেই চুপসে যেতে দেয়নি তারা। আগামী জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠানটি আরো সফল হয়ে উঠবে। কারন জানুয়ারীতেই উন্মোচন করতে যাচ্ছে ৬ সেকেন্ড ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ভাইন। যা আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। এসব উদ্যোগগুলোই বিজয়ী বেশে সবার সামনে আসার পথ উন্মোচন করেছে টুইটারকে।

গুগল
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির চশমা 'গুগল গ্লাস' উন্মোচন ছিল গুগলের নতুন স্বপ্ন দেখার সুচনা। বিশ্ববাসীকে নতুন একধরনের চশমার সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে ২০১৩ সালেই এটি উন্মোচন করা হয় যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারনের জন্য এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি। তবে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০১৩ সালে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জিহ্বায় আলোচনার পাত্রে পরিনত হতে পেরেছে গুগল। অন্যদিকে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড ছাড়ার কারনেও মার্কেটের ৮০ শতাংশ দখলে রেখেছে সার্চ ইঞ্জিন এ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও জনপ্রিয় সামাজিক ট্রাফিক অ্যাপ্লিকেশন ওয়াজ উন্মোচনের ফলে নিলামী যুদ্ধেও বিজয়ী হয়েছে গুগল।

মাইক্রোসফট ও সনি
চলতি বছরটা বিশ্ববাসী কাটিয়েছে গেমিং ডিভাইস প্লেস্টেশন ৪ এবং এক্সবক্স আগমনের অপেক্ষায়। বছরের শেষে এসে নভেম্বরের ২২ তারিখে বাজারে উন্মোচিত হয় সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের পরবর্তী প্রজন্মের গেইমিং কনসোল এক্সবক্স ওয়ান। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার। গত আট বছর ধরে আলোচনার অবসান ঘটিয়ে এক্সবক্স ৩৬০ এর উত্তরসুরী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি। অন্যদিকে সপ্তাহখানেক আগে স্টোরে অবতরন করেছে ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা সনির গেইমিং কনসোল প্লেস্টেশন ৪। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯৯ মার্কিন ডলার। উন্মোচনের পর থেকেই বাজারে গেম কনসোলের যুদ্ধে হাজির হয়েছে নতুন দুই গেম কনসোল সনির প্লেস্টেশন ৪ এবং মাইক্রোসফটের এক্সবক্স ওয়ান। উভয় প্রতিষ্ঠানই একে সময়ের সবচেয়ে আধুনিক গেম কনসোল হিসেবে দাবি করেছে। এছাড়া বাজারে বিক্রি শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এক মিলিয়ন কনসোল বিক্রি হয়েছে বলে উভয় কোম্পানী দাবি করেছে। এ দুটি গেমিং কনসোল উন্মোচন করে বিজয়ীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মাইক্রোসফট এবং সনি।

অ্যাপল
চলতি বছরে মার্কিন কোম্পানী অ্যাপল সাড়া জাগানো বেশ কিছু পন্য উন্মোচন করেছে। কোটি কোটি মোবাইল ডিভাইস বিক্রি করে বাজারে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সাথে নতুন ডিভাইস তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরের শেষের দিকে এসে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে অ্যাপল তার জনপ্রিয় স্মার্টফোন আইফোনের দুটি মডেল উন্মোচন করে, যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। এগুলোকে কমদামী আইফোন হিসাবেও ঘোষনা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তুলনামূলক ভাবে দাম কম হওয়ায় এ দুটি সেটের বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে অ্যাপল। বাজারে ছাড়ার সাথে সাথেই ফুরিয়ে যায় স্টকে থাকা আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। অ্যাপল তার ১৬ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার আইফোন ৫এস মডেলের দাম নির্ধারন করেছে ৬৪৯ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার আইফোন ৫সির দাম নির্ধারন করেছে ৫৪৯ মার্কিন ডলার।

হুটসুইট
সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হুটসুইট চলতি বছরের আগস্ট মাসে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। স্বল্পসময়ে এ বিপুল অর্জন প্রতিষ্ঠানটিকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যনির্ধারণ করতে সক্ষম করে তুলেছে। এ সেবার আওতায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। হুটসুইট হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক ড্যাশর্বোড আপডেট মিডিয়া যেটা অনলাইন ব্র্যান্ড পরিচালনার জন্যবিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। হুটসুইটের এর শক্তিশালী টুল আপনার সামাজিক নেটওয়ার্ক হালনাগাদকরন বা যোগাযোগ সহ ওয়েবসাইট হালনাগাদকরনে সাহায্য করবে। হুটসুইট এর জনপ্রিয়তার মূল কারন ব্যবহারকারী একই জায়গা থেকে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, ফরস্বকয়ার, মাইস্পেস, পিং.এফএম এর মত শীর্ষ সামাজিক মিডিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

নকিয়া
মোবাইল ডিভিশন এবং লাইসেন্স হস্তান্তরের মাধ্যমে এবছরেই ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার নিজেদের পোর্টফোলিওতে যোগ করতে পেরেছে ফিনল্যান্ডের মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া। এর সকল পক্রিয়া আগামী বছর ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নকিয়ার এ বিরাট অর্জনের পেছনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসে নকিয়ার পেটেন্ট ও ম্যাপ সার্ভিসের লাইসেন্স কিনে নিতে রাজি হয় মাইক্রোসফট। ফলে নকিয়ার ৩২ হাজার কর্মী মাইক্রোসফটের অধীনে চলে যাবেন। আগামীতে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করবে নকিয়া। নকিয়ার ডিভাইস ও সার্ভিস ইউনিটের জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিবে মাইক্রোসফট। পাশাপাশি নকিয়ার পেটেন্ট লাইসেন্সের জন্য দিবে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার।

টাম্বলার
২০১৩ সালে প্রযুক্তি বিশ্বে বিজয়ীর তালিকায় নাম লিখিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টাম্বলার। এ বছরে তাদের অর্জন ১১০ কোটি মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমান অর্থে প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয় ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহু। তবে কিনে নেয়া হলেও টাম্বলার সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড কার্প টাম্বলার চালু করেন। বর্তমানে এ সাইটটিতে ১০ কোটিরও বেশি ব্লগ রয়েছে এবং ৫০০ কোটির বেশি পোস্ট রয়েছে।

স্নাপচ্যাট
বর্তমানে ফটো মেসেঞ্জিং অ্যাপগুলোর মধ্যে স্নাপচ্যাট হল বহুল আলোচিত একটি অ্যাপ। ক্ষণস্থায়ী ফটো শেয়ার ভিত্তিক এই অ্যাপটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি শেয়ারের মধ্য দিয়ে তা ফেসবুকের সমকক্ষে এসে পড়েছে এটি। কোম্পানীটি ইতিমধ্যে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কেনার অফার পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের পক্ষ থেকে। তবে গুগলের পক্ষ থেকে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অফার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অফারেও প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পেগেল রাজি হননি বিক্রিতে। কোম্পানীর মূ্ল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন তিনি। বছরের শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে প্রযুক্তি বিশ্বের বড় দুটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিশাল অংকের অফার ছিল প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিজয়ের মশাল। - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf
টুইটার
শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে স্টকমার্কেট থেকে ১ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ছিল টুইটারের জন্য দুর্গ বিজয়ের মতো। যা ছিল ২০১১ সালের ফেসবুকের আইপি চমকের চেয়েও বেশি। চলতি বছরের নভেম্বরে বাজারে আইপিও ছাড়তেই সামাজিক যোগাযোগ সাইট হিসেবে টুইটারের আইপিও ক্রয়ে বিনিয়োগকারিদের মাঝে হুঁড়োহুড়ি পড়ে যায়। অন্তত প্রথম লক্ষ্য পূরণে ১০০% সফল টুইটার। আর যা-ই হোক, ফেসবুকের মতো বিপুল প্রত্যাশার ফানুসকে প্রথম দিনেই চুপসে যেতে দেয়নি তারা। আগামী জানুয়ারীতে প্রতিষ্ঠানটি আরো সফল হয়ে উঠবে। কারন জানুয়ারীতেই উন্মোচন করতে যাচ্ছে ৬ সেকেন্ড ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ ভাইন। যা আইওএস অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড চার্টের শীর্ষে অবস্থান করছে। এসব উদ্যোগগুলোই বিজয়ী বেশে সবার সামনে আসার পথ উন্মোচন করেছে টুইটারকে।

গুগল
চলতি বছরে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের করে নেয়ার পাশাপাশি উচ্চ প্রযুক্তির চশমা 'গুগল গ্লাস' উন্মোচন ছিল গুগলের নতুন স্বপ্ন দেখার সুচনা। বিশ্ববাসীকে নতুন একধরনের চশমার সাথে পরিচিত করিয়ে দিতে ২০১৩ সালেই এটি উন্মোচন করা হয় যদিও এটি আনুষ্ঠানিকভাবে সর্বসাধারনের জন্য এখনও বাজারে ছাড়া হয়নি। তবে সার্চ ইঞ্জিন প্রতিষ্ঠান হিসাবে ২০১৩ সালে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জিহ্বায় আলোচনার পাত্রে পরিনত হতে পেরেছে গুগল। অন্যদিকে মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড ছাড়ার কারনেও মার্কেটের ৮০ শতাংশ দখলে রেখেছে সার্চ ইঞ্জিন এ প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়াও জনপ্রিয় সামাজিক ট্রাফিক অ্যাপ্লিকেশন ওয়াজ উন্মোচনের ফলে নিলামী যুদ্ধেও বিজয়ী হয়েছে গুগল।

মাইক্রোসফট ও সনি
চলতি বছরটা বিশ্ববাসী কাটিয়েছে গেমিং ডিভাইস প্লেস্টেশন ৪ এবং এক্সবক্স আগমনের অপেক্ষায়। বছরের শেষে এসে নভেম্বরের ২২ তারিখে বাজারে উন্মোচিত হয় সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটের পরবর্তী প্রজন্মের গেইমিং কনসোল এক্সবক্স ওয়ান। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯৯ মার্কিন ডলার। গত আট বছর ধরে আলোচনার অবসান ঘটিয়ে এক্সবক্স ৩৬০ এর উত্তরসুরী হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে এটি। অন্যদিকে সপ্তাহখানেক আগে স্টোরে অবতরন করেছে ইলেকট্রনিক সামগ্রী নির্মাতা সনির গেইমিং কনসোল প্লেস্টেশন ৪। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৩৯৯ মার্কিন ডলার। উন্মোচনের পর থেকেই বাজারে গেম কনসোলের যুদ্ধে হাজির হয়েছে নতুন দুই গেম কনসোল সনির প্লেস্টেশন ৪ এবং মাইক্রোসফটের এক্সবক্স ওয়ান। উভয় প্রতিষ্ঠানই একে সময়ের সবচেয়ে আধুনিক গেম কনসোল হিসেবে দাবি করেছে। এছাড়া বাজারে বিক্রি শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এক মিলিয়ন কনসোল বিক্রি হয়েছে বলে উভয় কোম্পানী দাবি করেছে। এ দুটি গেমিং কনসোল উন্মোচন করে বিজয়ীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছে মাইক্রোসফট এবং সনি।

অ্যাপল
চলতি বছরে মার্কিন কোম্পানী অ্যাপল সাড়া জাগানো বেশ কিছু পন্য উন্মোচন করেছে। কোটি কোটি মোবাইল ডিভাইস বিক্রি করে বাজারে প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। সেই সাথে নতুন ডিভাইস তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বছরের শেষের দিকে এসে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে অ্যাপল তার জনপ্রিয় স্মার্টফোন আইফোনের দুটি মডেল উন্মোচন করে, যা বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। এগুলোকে কমদামী আইফোন হিসাবেও ঘোষনা দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। তুলনামূলক ভাবে দাম কম হওয়ায় এ দুটি সেটের বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে অ্যাপল। বাজারে ছাড়ার সাথে সাথেই ফুরিয়ে যায় স্টকে থাকা আইফোন ৫এস এবং আইফোন ৫সি। অ্যাপল তার ১৬ গিগাবাইট তথ্য ধারণ ক্ষমতার আইফোন ৫এস মডেলের দাম নির্ধারন করেছে ৬৪৯ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ৩২ গিগাবাইট তথ্য ধারণক্ষমতার আইফোন ৫সির দাম নির্ধারন করেছে ৫৪৯ মার্কিন ডলার।

হুটসুইট
সামাজিক মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম হুটসুইট চলতি বছরের আগস্ট মাসে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। স্বল্পসময়ে এ বিপুল অর্জন প্রতিষ্ঠানটিকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অধিক মূল্যনির্ধারণ করতে সক্ষম করে তুলেছে। এ সেবার আওতায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৭ মিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। হুটসুইট হলো একটি জনপ্রিয় সামাজিক ড্যাশর্বোড আপডেট মিডিয়া যেটা অনলাইন ব্র্যান্ড পরিচালনার জন্যবিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হয়। হুটসুইটের এর শক্তিশালী টুল আপনার সামাজিক নেটওয়ার্ক হালনাগাদকরন বা যোগাযোগ সহ ওয়েবসাইট হালনাগাদকরনে সাহায্য করবে। হুটসুইট এর জনপ্রিয়তার মূল কারন ব্যবহারকারী একই জায়গা থেকে ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডিন, ফরস্বকয়ার, মাইস্পেস, পিং.এফএম এর মত শীর্ষ সামাজিক মিডিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।

নকিয়া
মোবাইল ডিভিশন এবং লাইসেন্স হস্তান্তরের মাধ্যমে এবছরেই ৭২০ কোটি মার্কিন ডলার নিজেদের পোর্টফোলিওতে যোগ করতে পেরেছে ফিনল্যান্ডের মুঠোফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নকিয়া। এর সকল পক্রিয়া আগামী বছর ২০১৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। নকিয়ার এ বিরাট অর্জনের পেছনে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসে নকিয়ার পেটেন্ট ও ম্যাপ সার্ভিসের লাইসেন্স কিনে নিতে রাজি হয় মাইক্রোসফট। ফলে নকিয়ার ৩২ হাজার কর্মী মাইক্রোসফটের অধীনে চলে যাবেন। আগামীতে উইন্ডোজনির্ভর স্মার্টফোন তৈরি করবে নকিয়া। নকিয়ার ডিভাইস ও সার্ভিস ইউনিটের জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিবে মাইক্রোসফট। পাশাপাশি নকিয়ার পেটেন্ট লাইসেন্সের জন্য দিবে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার।

টাম্বলার
২০১৩ সালে প্রযুক্তি বিশ্বে বিজয়ীর তালিকায় নাম লিখিয়েছে নিউইয়র্ক ভিত্তিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টাম্বলার। এ বছরে তাদের অর্জন ১১০ কোটি মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমান অর্থে প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয় ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহু। তবে কিনে নেয়া হলেও টাম্বলার সম্পূর্ণ স্বাধীন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইয়াহু কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ডেভিড কার্প টাম্বলার চালু করেন। বর্তমানে এ সাইটটিতে ১০ কোটিরও বেশি ব্লগ রয়েছে এবং ৫০০ কোটির বেশি পোস্ট রয়েছে।

স্নাপচ্যাট
বর্তমানে ফটো মেসেঞ্জিং অ্যাপগুলোর মধ্যে স্নাপচ্যাট হল বহুল আলোচিত একটি অ্যাপ। ক্ষণস্থায়ী ফটো শেয়ার ভিত্তিক এই অ্যাপটি এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। প্রতিদিন ৩৫০ মিলিয়ন ছবি শেয়ারের মধ্য দিয়ে তা ফেসবুকের সমকক্ষে এসে পড়েছে এটি। কোম্পানীটি ইতিমধ্যে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কেনার অফার পেয়েছে সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকের পক্ষ থেকে। তবে গুগলের পক্ষ থেকে ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অফার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অফারেও প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভান স্পেগেল রাজি হননি বিক্রিতে। কোম্পানীর মূ্ল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় আছেন তিনি। বছরের শেষের দিকে এসে অক্টোবর মাসে প্রযুক্তি বিশ্বের বড় দুটি কোম্পানীর পক্ষ থেকে বিশাল অংকের অফার ছিল প্রতিষ্ঠানটির জন্য বিজয়ের মশাল। - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf

২০১৩ সাল ছিল প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের বছর। এ বছরেই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়েছে নজরকাড়া অনেক উদ্যোগ। কেউ কেউ উদ্ভাবনের মাধ্যমে চমক দেখিয়েছে বিশ্ববাসীকে। কেউ হয়েছে বিজয়ী আবার কেউ পরাজিত। মাশাবেলে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তাদের জয় আর পরাজয়ের কারন। লিখেছেন মাহাবুব মাসফিক - See more at: http://www.techzoom24.com/index.php?option=com_k2&view=item&id=1243:9-winners-in-2013-technology#sthash.mxJrB9w7.dpuf