AdGuru

Saturday, January 18, 2014

৮টি উপায় কম্পিউটারকে ঠাণ্ডা রাখার

প্রিয় কম্পিউটারটি দিয়ে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে কাজ করতে করতে কম্পিউটারটি গরম হয়ে যায়। এই তাপমাত্রাজনিত কারণে অনেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। চলুন, জেনে নেই কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কীভাবে কম্পিউটারটিকে ঠাণ্ডা রাখতে হবে। 

কুল

প্রিয় কম্পিউটারটি দিয়ে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত নানা রকম প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় যে কাজ করতে করতে কম্পিউটারটি গরম হয়ে যায়। এই তাপমাত্রাজনিত কারণে অনেকেই নানারকম সমস্যায় ভুগে থাকেন। চলুন, জেনে নেই কিছু স্বাভাবিক নিয়ম মেনে কীভাবে কম্পিউটারটিকে ঠাণ্ডা রাখতে হবে।
১. বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় এর কম্পোনেন্টগুলো ব্যবহারের কারণে উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে কম্পিউটারের কেসিং-এর ফাঁকা স্থানে থাকা বাতাস গরম হয়ে ওঠে। এই গরম বাতাস উত্তপ্ত হতে থাকা কম্পোনেন্টগুলোকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেসিং-এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট কুলার ফ্যান এর সাহায্যে ভিতরের এই গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে যাতে করে এই ফ্যানগুলো ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
কেসিং এর কিছু স্থানে আবার ছোট কুলার ফ্যান ব্যবহার না করে শুধু কেসিং-এর গায়ে প্রয়োজন মতো ছিদ্র করা থাকে, যেমন মাদারবোর্ডের পেছনের অংশ। খেয়াল রাখবেন গরম বাতাস বেড়িয়ে যাবার এই পথগুলোর সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে; এতে করে ভেতরের গরম বাতাস সম্পুর্ন বের হতে পারবে না, ফলে আপনার কম্পিউটারটির বিভিন্ন কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্ততপক্ষে চারপাশ ২ থেকে ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা রাখুন।
২. কম্পিউটারের কেসিং খুলে ব্যবহার করবেন নাঃ উপরের পয়েন্টটি থেকে আপনার মনে হতেই পারে যে আপনি যদি আপনার কেসিংটি খুলে ব্যবহার করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই কোন রকম কুলার ফ্যান ছাড়াই যথেষ্ট পরিমাণ এয়ার-ফ্লো আপনার পিসিতে থাকবে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনি ধুলো-বালির কথা ভুলে যাচ্ছেন। ধুলো-বালি আপনার প্রসেসরের উপরে থাকা ফ্যানটির গতিরোধ করবে এবং গতিরোধের কারণে প্রসেসরের ফ্যানটি স্বাভাবিকের চাইতে কম সময় টিকবে। অর্থাৎ প্রথম প্রথম আপনি হালকা সুবিধা পেলেও এটি মূলত আপনার ক্ষতিই করছে।
৩. আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ঠাণ্ডা রাখে কেসিং-এর ভিতরে থাকা কুলিং ফ্যানগুলো। আস্তে আস্তে সেই ফ্যানগুলোতে ধুলো এবং অনান্য ময়লা জমে যায় যা ফ্যানের পারফরম্যান্সকে কমিয়ে দেয় এবং কুলিং ফ্যান এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে থাকে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেইস খুলে ব্লোয়ার এর সাহায্যে ভিতরের কম্পোনেন্টগুলো এবং পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। সাধারণত, কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে, পাওয়ার সাপ্লাই এর ভেতরে এবং কেসিং-এর সাথে দুটি অথবা তিনটি কুলিং ফ্যান থেকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন পাওয়ার সাপ্লাইটি খুলে এর কুলিং ফ্যানটি পরিষ্কার করতে।
কম্পিউটার বাজারে একটি ব্লোয়ার আপনি ১৫০০ টাকার মাঝে পেয়ে যাবেন।
৪. সিপিইউ-এর ফ্যান ও থার্মালপেস্ট পরিবর্তন করুনঃ সাধারণত প্রসেসর কম্পিউটারটির মধ্যে থেকে থাকা সবচাইতে দামি এবং স্পর্শকাতর কম্পোনেন্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের সময় প্রসেসরই দ্রুত গরম হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপনার স্টক প্রসেসরের কুলারটি পরিবর্তন করে থাকেন তবে খেয়াল করুন ফ্যানটি ফুল স্পিডে চলছে কিনা। আর যদি এখনো পরিবর্তন না করে থাকেন তবে আপগ্রেড করতে চেষ্টা করুন। কেননা, অনেক কোম্পানিই আছে যারা প্রসেসরের জন্য কিছুটা বড় মাপের কুলার ফ্যান তৈরি করে থাকে। যা প্রসেসরকে স্টক কুলার থেকেও ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে প্রসেসরের ফ্যান আপগ্রেড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবে পিসিতে প্রি-ইন্সটলড থেকে থাকা যন্ত্রাংশগুলোর চাইতে নতুন কেনা যন্ত্রগুলো বেশি ভালো এবং কার্যকর হয়ে থাকে।
৫. কেসিং–এর ফ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করুনঃ কেসিং-এর ভেতরে সাধারণত একটি ফ্যান সংযুক্ত থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি কেসিং এর ভেতরেই দু-তিনটি কুলার ফ্যান লাগানোর জায়গা থাকে। সেগুলো ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, অতিরিক্ত কুলার ফ্যানের সাহায্যে আপনি আপনার সিস্টেমকে আরও ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। বাজারে নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড – দু'রকমেরই কেসিং ফ্যান পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ড গুলো ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের গুলো ১৫০০-৪০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৬. ওভারক্লক করবেন নাঃ যদি আপনি ‘ওভারক্লকিং’ শব্দটির সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে সম্ভবত আপনি এখনো আপনার সিস্টেম ওভারক্লক করেননি। কিন্তু যারা ওভারক্লকিং এর সাথে পরিচিত তারা বুঝে শুনে ওভারক্লক করুন। ওভারক্লকিং প্রসেস আপনার কম্পোনেন্টকে এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভারক্লকিং এর কারণে ওভারক্লকড কম্পোনেন্টটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ধরুন, আপনি আপনার প্রসেসরটি ওভারক্লক করলেন কিন্ত অন্যান্য সতর্কতা গ্রহণ করলেন না। এতে করে খুব সহজেই আপনার প্রসেসরটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনার একেবারেই যদি প্রয়োজন না হয় তবে আপনার সিস্টেমটিকে এর স্বাভাবিক ক্ষমতায় ব্যবহার করুন। আর যদি ওভারক্লক করেই থাকেন তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কুলিং সিস্টেম এবং ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করুন।
৭. পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুনঃ আপনার কেসিং-এর ভেতরে যদি আপনি কোন প্রকার কুলিং ফ্যান ব্যবহার করে না থেকেন তবে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই-ই একমাত্র পন্থা যা ভেতরের গরম বাতাসকে বাইরে ট্রান্সফার করতে পারে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুন। যদি এর ফ্যান কোনোভাবে কাজ না করে তবে যেকোন সময় আপনার সিস্টেম অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কুলার কাজ না-ই করে তবে আপনার সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে; কেননা এর ফ্যান রিপেয়ারযোগ্য নয়।
ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন। বাজারে নন-ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০-৯০০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৮. প্রতিটি যন্ত্রাংশের জন্য আলাদা কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেনঃ যদিও প্রসেসরই কেসিং-এর তাপমাত্রার জন্য দায়ী কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমানভাবে কাজ করে। যেমন, যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে দেখতে পাবেন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথেই দু’টি কিংবা একটি ছোট কুলিং ফ্যান ডিফল্ট ভাবে যুক্ত করা আছে। কিন্তু যদি সেই কুলারগুলে কাজ করা সত্ত্বেও আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য এক্সট্রা কুলিং ফ্যান লাগিয়ে নিতে পারেন।
এরকম কিছু ছোট ছোট নিয়মের মাঝে থেকেই আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে খুব সহজেই ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মূল্যবান কম্পিউটারটি তাপমাত্রাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।
 
১. বায়ু প্রবাহ নিশ্চিত করুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় এর কম্পোনেন্টগুলো ব্যবহারের কারণে উত্তপ্ত হয়ে যায়। ফলে কম্পিউটারের কেসিং-এর ফাঁকা স্থানে থাকা বাতাস গরম হয়ে ওঠে। এই গরম বাতাস উত্তপ্ত হতে থাকা কম্পোনেন্টগুলোকে আরও বেশি উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেসিং-এর কিছু নির্দিষ্ট স্থানে ছোট ছোট কুলার ফ্যান এর সাহায্যে ভিতরের এই গরম বাতাস বাইরে বের করে দেয়ার ব্যবস্থা থাকে যাতে করে এই ফ্যানগুলো ভেতরের গরম বাতাস বাইরে বের করে দিয়ে ভেতরের বাতাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখে।
কেসিং এর কিছু স্থানে আবার ছোট কুলার ফ্যান ব্যবহার না করে শুধু কেসিং-এর গায়ে প্রয়োজন মতো ছিদ্র করা থাকে, যেমন মাদারবোর্ডের পেছনের অংশ। খেয়াল রাখবেন গরম বাতাস বেড়িয়ে যাবার এই পথগুলোর সামনে যেন কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে; এতে করে ভেতরের গরম বাতাস সম্পুর্ন বের হতে পারবে না, ফলে আপনার কম্পিউটারটির বিভিন্ন কম্পিউটার অতিরিক্ত গরম হয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্ততপক্ষে চারপাশ ২ থেকে ৩ ইঞ্চি খালি জায়গা রাখুন।

২. কম্পিউটারের কেসিং খুলে ব্যবহার করবেন নাঃ উপরের পয়েন্টটি থেকে আপনার মনে হতেই পারে যে আপনি যদি আপনার কেসিংটি খুলে ব্যবহার করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই কোন রকম কুলার ফ্যান ছাড়াই যথেষ্ট পরিমাণ এয়ার-ফ্লো আপনার পিসিতে থাকবে। হ্যাঁ, সেক্ষেত্রে আপনার যুক্তি ঠিক। কিন্তু আপনি ধুলো-বালির কথা ভুলে যাচ্ছেন। ধুলো-বালি আপনার প্রসেসরের উপরে থাকা ফ্যানটির গতিরোধ করবে এবং গতিরোধের কারণে প্রসেসরের ফ্যানটি স্বাভাবিকের চাইতে কম সময় টিকবে। অর্থাৎ প্রথম প্রথম আপনি হালকা সুবিধা পেলেও এটি মূলত আপনার ক্ষতিই করছে।

৩. আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার রাখুনঃ আপনার কম্পিউটার সিস্টেমকে ঠাণ্ডা রাখে কেসিং-এর ভিতরে থাকা কুলিং ফ্যানগুলো। আস্তে আস্তে সেই ফ্যানগুলোতে ধুলো এবং অনান্য ময়লা জমে যায় যা ফ্যানের পারফরম্যান্সকে কমিয়ে দেয় এবং কুলিং ফ্যান এর স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাঁধা দিয়ে থাকে। এ জন্য আপনার কম্পিউটারের কেইস খুলে ব্লোয়ার এর সাহায্যে ভিতরের কম্পোনেন্টগুলো এবং পাখাগুলো পরিষ্কার করুন। সাধারণত, কম্পিউটারে প্রসেসরের উপরে, পাওয়ার সাপ্লাই এর ভেতরে এবং কেসিং-এর সাথে দুটি অথবা তিনটি কুলিং ফ্যান থেকে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করুন। চেষ্টা করুন পাওয়ার সাপ্লাইটি খুলে এর কুলিং ফ্যানটি পরিষ্কার করতে।
কম্পিউটার বাজারে একটি ব্লোয়ার আপনি ১৫০০ টাকার মাঝে পেয়ে যাবেন।

৪. সিপিইউ-এর ফ্যান ও থার্মালপেস্ট পরিবর্তন করুনঃ সাধারণত প্রসেসর কম্পিউটারটির মধ্যে থেকে থাকা সবচাইতে দামি এবং স্পর্শকাতর কম্পোনেন্ট হয়ে থাকে এবং ব্যবহারের সময় প্রসেসরই দ্রুত গরম হয়। আপনি যদি ইতিমধ্যেই আপনার স্টক প্রসেসরের কুলারটি পরিবর্তন করে থাকেন তবে খেয়াল করুন ফ্যানটি ফুল স্পিডে চলছে কিনা। আর যদি এখনো পরিবর্তন না করে থাকেন তবে আপগ্রেড করতে চেষ্টা করুন। কেননা, অনেক কোম্পানিই আছে যারা প্রসেসরের জন্য কিছুটা বড় মাপের কুলার ফ্যান তৈরি করে থাকে। যা প্রসেসরকে স্টক কুলার থেকেও ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে প্রসেসরের ফ্যান আপগ্রেড করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
মনে রাখবেন, স্বাভাবিকভাবে পিসিতে প্রি-ইন্সটলড থেকে থাকা যন্ত্রাংশগুলোর চাইতে নতুন কেনা যন্ত্রগুলো বেশি ভালো এবং কার্যকর হয়ে থাকে।

৫. কেসিং–এর ফ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করুনঃ কেসিং-এর ভেতরে সাধারণত একটি ফ্যান সংযুক্ত থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখবেন প্রায় প্রতিটি কেসিং এর ভেতরেই দু-তিনটি কুলার ফ্যান লাগানোর জায়গা থাকে। সেগুলো ব্যবহার করা উত্তম। কেননা, অতিরিক্ত কুলার ফ্যানের সাহায্যে আপনি আপনার সিস্টেমকে আরও ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন নিশ্চিন্তেই। বাজারে নন ব্র্যান্ড এবং ব্র্যান্ড – দু'রকমেরই কেসিং ফ্যান পাওয়া যায়। নন-ব্র্যান্ড গুলো ৭০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের গুলো ১৫০০-৪০০০ টাকার মাঝে পাবেন।
৬. ওভারক্লক করবেন নাঃ যদি আপনি ‘ওভারক্লকিং’ শব্দটির সাথে পরিচিত না হয়ে থাকেন তবে সম্ভবত আপনি এখনো আপনার সিস্টেম ওভারক্লক করেননি। কিন্তু যারা ওভারক্লকিং এর সাথে পরিচিত তারা বুঝে শুনে ওভারক্লক করুন। ওভারক্লকিং প্রসেস আপনার কম্পোনেন্টকে এর সর্বোচ্চ পারফরম্যান্সে কাজ করতে বাধ্য করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ওভারক্লকিং এর কারণে ওভারক্লকড কম্পোনেন্টটি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায়।
ধরুন, আপনি আপনার প্রসেসরটি ওভারক্লক করলেন কিন্ত অন্যান্য সতর্কতা গ্রহণ করলেন না। এতে করে খুব সহজেই আপনার প্রসেসরটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, আপনার একেবারেই যদি প্রয়োজন না হয় তবে আপনার সিস্টেমটিকে এর স্বাভাবিক ক্ষমতায় ব্যবহার করুন। আর যদি ওভারক্লক করেই থাকেন তবে প্রয়োজন অনুযায়ী কুলিং সিস্টেম এবং ভালো পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট ব্যবহার করুন।

৭. পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুনঃ আপনার কেসিং-এর ভেতরে যদি আপনি কোন প্রকার কুলিং ফ্যান ব্যবহার করে না থেকেন তবে আপনার পাওয়ার সাপ্লাই-ই একমাত্র পন্থা যা ভেতরের গরম বাতাসকে বাইরে ট্রান্সফার করতে পারে। তাই পাওয়ার সাপ্লাই চেক করুন। যদি এর ফ্যান কোনোভাবে কাজ না করে তবে যেকোন সময় আপনার সিস্টেম অতিরিক্ত তাপমাত্রা জনিত কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে কোনোভাবে যদি আপনার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কুলার কাজ না-ই করে তবে আপনার সম্পূর্ণ নতুন পাওয়ার সাপ্লাই কিনতে হবে; কেননা এর ফ্যান রিপেয়ারযোগ্য নয়।
ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করুন। বাজারে নন-ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ৬০০-৯০০ টাকায় এবং ব্র্যান্ডের পাওয়ার সাপ্লাই ২৫০০ থেকে ৫০০০ টাকার মাঝে পাবেন।

৮. প্রতিটি যন্ত্রাংশের জন্য আলাদা কুলিং ফ্যান ব্যবহার করতে পারেনঃ যদিও প্রসেসরই কেসিং-এর তাপমাত্রার জন্য দায়ী কিন্তু কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশও তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সমানভাবে কাজ করে। যেমন, যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড ব্যবহার করে থাকেন তবে দেখতে পাবেন গ্রাফিক্স কার্ডের সাথেই দু’টি কিংবা একটি ছোট কুলিং ফ্যান ডিফল্ট ভাবে যুক্ত করা আছে। কিন্তু যদি সেই কুলারগুলে কাজ করা সত্ত্বেও আপনার গ্রাফিক্স কার্ডটি ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যায় তাহলে আপনি আপনার গ্রাফিক্স কার্ডের জন্য এক্সট্রা কুলিং ফ্যান লাগিয়ে নিতে পারেন।
এরকম কিছু ছোট ছোট নিয়মের মাঝে থেকেই আপনি আপনার কম্পিউটারটিকে খুব সহজেই ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন। এতে করে আপনার মূল্যবান কম্পিউটারটি তাপমাত্রাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া থেকে কিছুটা হলেও বেঁচে যাবে।

0 comments:

Post a Comment